অনুব্রত মণ্ডল নয়, আপাতত তাঁদের কপালের ভাঁজ বাড়াচ্ছে মশা, ডেঙ্গির মশা। শহরে ডেঙ্গির (Dengue) দাপট বেড়েছে বলে ধারণা তৈরি হয়েছে সাধারণ মানুষের একটা অংশের মধ্যে। মনের মধ্যে নানা আশঙ্কা। আর সে কারণেই এবার পুরসভার দ্বারস্থ গোয়েন্দরা। তদন্তে নানা ব্যস্ততার ফাঁকে যাতে রোগ বালাইয়ের সমস্যায় না কাবু হতে হয়। নির্দিষ্ট করে পুরসভার ধোঁয়া মেশিনে যেন মশার তেল দেওয়া হয় সেই ব্যাপারে অনুরোধ জানিয়ে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে সিবিআই দফতর থেকে চিঠি পাঠানো হয় বিধাননগর পুর নিগমে।
সিবিআইয়ের (CBI) ওই বিশেষ অনুরোধের চিঠি পাওয়ার পর তৎপর হন বিধাননগর পুর নিগমের কর্তারা। ডেঙ্গি রোগ বাহিত মশা নিধনের জন্য সিজিও কমপ্লেক্সের মধ্যে মশার তেল ছড়ানো হয়েছে ইতিমধ্যেই। ধোঁয়া মেশিন থেকে ধোঁয়া দেওয়া হয়েছে বিধাননগর পুর নিগম এর তরফে।
গত ৭ নভেম্বর সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে (CGO Complex) সিবিআই দফতরের পক্ষ থেকে বিধাননগর পুর নিগমে একটি চিঠি পাঠানো হয়। ওই চিঠিতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে জানানো হয় তাঁদের আশঙ্কার বিষয়টি। তাঁরা উল্লেখ করেন আপাতত ডেঙ্গির পরিস্থিতি উদ্বেগজনক চেহারা নিয়েছে সেই পরিস্থিতিতে সিজিও কমপ্লেক্সের প্রথম এবং দ্বিতীয় তলে মশার উপদ্রব বাড়ছে। ওই কথা মাথায় রেখে যাতে তারা দ্রুত মশা নিধনের ব্যবস্থা করেন।
সেই বিশেষ অনুরোধের ভিত্তিতে শনিবার সিজিও কমপ্লেক্স চত্বরে মশা নিরোধক তেল এবং ধোঁয়া স্প্রে করা হয় পুর নিগমের পক্ষ থেকে। পরবর্তী সময়েও পরিস্থিতি যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে বলে পুর নিগম সূত্রে জানানো হয়েছে। এখনও পর্যন্ত বিধাননগরের প্রায় ২৮০০ বাসিন্দা ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে। ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন ৫ জন।
এদিকে শনিবার বিধান নগর পুর নিগমের দফতরে আসেন পুরমন্ত্রী (Municipal Affairs) ফিরহাদ হাকিম। বিধান নগরের মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী এবং অন্যান্য কাউন্সিলরদের সঙ্গে নিয়ে ডেঙ্গু সচেতনতা বৃদ্ধিতে বিধান নগরের রাস্তায় হাঁটেন তিনি। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকও। পুরমন্ত্রী বিধাননগরের স্থানীয় বাসিন্দাদের অনুরোধ করেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতন হবার জন্য।