নয়াদিল্লি: মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চের রায় পরিবর্তন করতে বিল আনছে কেন্দ্র। বৃহস্পতিবার রাজ্যসভায় এই বিল পেশ করতে চলেছেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী অর্জুনরাম মেঘওয়াল। এই বিলে দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে নির্বাচক কমিটি শাসকদলের হাতেই থাকবে। বিলের প্রস্তাব হল, কমিশনার নিয়োগে নির্বাচক কমিটির সভাপতি হবেন প্রধানমন্ত্রী, সদস্য হিসেবে থাকবেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা এবং তৃতীয় জন প্রধানমন্ত্রীর মনোনীত ক্যাবিনেট পদমর্যাদার কোনও মন্ত্রী।
উল্লেখ্য, সর্বোচ্চ আদালত গত মার্চে বিচারপতি কে এম জোসেফকে নিয়ে গঠিত ৫ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চের সর্বসম্মত রায়ে বলেছিল, মুখ্য এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের কমিটি গঠিত হবে প্রধানমন্ত্রী, লোকসভার বিরোধী দলনেতা এবং ভারতের প্রধান বিচারপতিকে নিয়ে। বিলে প্রধান বিচারপতিকে বাদ দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর মনোনীত ক্যাবিনেট মন্ত্রীকে রাখার প্রস্তাব আনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভুয়ো নথি দিয়ে চাকরির মামলায় আদালতের তোপে সিআইডির ডিআইজি
প্রসঙ্গত, আগামী বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন কমিশনার অনুপচন্দ্র পাণ্ডে ৬৫ বছর বয়সে অবসরগ্রহণ করবেন। তাঁর অবসরের সময়ের অব্যবহিত পরেই ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশ হতে পারে। এর আগে দুবার নির্বাচন কমিশন মার্চ মাসে অন্তর্বর্তী নির্বাচনের দিন ঘোষণা করেছিল।
বিলে তিন সদস্যের নির্বাচক কমিটি থাকবেন,
১। প্রধানমন্ত্রী— চেয়ারপার্সন
২। লোকসভার বিরোধী দলনেতা— সদস্য
৩। প্রধানমন্ত্রী মনোনীত ক্যাবিনেট পদমর্যাদার একজন মন্ত্রী— সদস্য
বিল আইনে পরিণত হওয়ার তাৎপর্য হল, এর ফলে নির্বাচন কমিশনে নিয়োগে দেশের প্রধান বিচারপতির আর কোনও ক্ষমতা থাকবে না। এবং ফের সরাসরি শাসকদলের হাতেই কমিশনারদের নিয়োগ প্রক্রিয়া থাকবে। শুধু তাই নয়, কমিশনার নিয়োগে যে সার্চ কমিটি থাকবে, তার মাথায় থাকবেন ক্যাবিনেট সচিব। তাঁর সঙ্গে সহায়তা করবেন আরও দুজন সচিব পর্যায়ের অফিসার। এই সার্চ কমিটি পাঁচজনের নাম প্রস্তাব করে পাঠাবে নির্বাচক কমিটির কাছে।