উত্তরসূরি হিসেবে বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নাম প্রস্তাব করলেন ভারতের প্রধান বিচারপতি ইউ ইউ ললিত। সুপ্রিম কোর্টের সব বিচারপতিদের বৈঠকে ডেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের হাতে সুপারিশ পত্র তুলে দিলেন তিনি। আগামী ৮ নভেম্বর মেয়াদ শেষ হচ্ছে প্রধান বিচারপতি ললিতের। তারপরেই দেশের ৫০তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন বিচারপতি চন্দ্রচূড়। গত শুক্রবার কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রকের তরফে প্রধান বিচারপতি ললিতকে চিঠি লিখে তাঁর উত্তরসূরির নাম প্রস্তাবের অনুরোধ করা হয়েছিল। এই নিয়ে মন্ত্রকের তরফে একটি টুইটও করা হয়েছিল যা বিরল ঘটনা।
যে সময়ে উত্তরসূরির নাম প্রস্তাব করা হল তাও যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ, কারণ একবার উত্তরসূরির নাম প্রস্তাবিত হওয়ার পর আর সুপ্রিম কোর্ট বডি বা কলেজিয়ামের সভাপতিত্ব করতে পারেন না প্রধান বিচারপতি। একই নিয়ম প্রযোজ্য হয়েছিল প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি এন ভি রমনা থেকে প্রধান বিচারপতি ইউ ইউ ললিতের হাতে দায়িত্ব হস্তান্তরের সময়।
কে এই ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়?
আরও পড়ুন: Cattle smuggling scam: অনুব্রত ঘনিষ্ঠ চালকল ব্যবসায়ীকে জিজ্ঞাসাবাদ সিবিআইয়ের
পুরো নাম ধনঞ্জয় যশবন্ত চন্দ্রচূড়, জন্ম ১৯৫৯ সালের ১১ নভেম্বর, তৎকালীন বম্বে শহরে। তাঁর বাবা যশবন্ত বিষ্ণু চন্দ্রচূড় ভারতের ইতিহাসে সবথেকে বেশিদিন ধরে মুখ্য বিচারপতির দায়িত্বে ছিলেন। অর্থাৎ বিষয়টা বংশানুক্রমিক। মা প্রভা ছিলেন একজন ক্লাসিক্যাল মিউজিশিয়ান।
১৯৮২ সালে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন পাশ করেন চন্দ্রচূড়। কিছুদিন জুনিয়র অ্যাডভোকেট হিসেবে কাজও করেন। এরপর হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি থেকে পাশ করে যোগ দেন সুলিভান অ্যান্ড ক্রমওয়েল নামের আইনি সংস্থায়। দেশে ফিরে সুপ্রিম কোর্ট এবং বম্বে হাইকোর্টে আইনজীবী হিসেবে কাজ করেন। ১৯৯৮ সালে বম্বে হাইকোর্টে সিনিয়র অ্যাডভোকেট হিসেবে উন্নীত হন। দু’ বছর পরে সেখানেই বিচারক হয়ে যান। সেখান থেকে এলাহাবাদ হাইকোর্টের মুখ্য বিচারপতি পদে বসেন। একই সঙ্গে মহারাষ্ট্র জুডিশিয়াল অ্যাকাডেমির ডিরেক্টরের পদও অলঙ্কৃত করেন।