দুর্গাপুজো মিটতেই গরু পাচার-কাণ্ডে সিবিআইয়ের ব্যস্ততা শুরু হল। মঙ্গলবার বীরভূমের আহমদপুরের চালকল ব্যবসায়ী এবং তৃণমূলের স্থানীয় অঞ্চল সভাপতি সঞ্জীব মজুমদারকে ডেকে পাঠিয়েছে সিবিআই। রতনকুঠিতে সিবিআইয়ের অস্থায়ী শিবিরে ইতিমধ্যে সঞ্জীব মজুমদারকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছেন সিবিআই আধিকারিকরা।
সিবিআই সূত্রের খবর, বর্তমানে জেলবন্দি তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের স্ত্রী যখন টাটা মেডিক্যালে ভর্তি ছিলেন, তখন এই সঞ্জীব কয়েক কোটি টাকা তাঁর অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করেছিলেন। এই বিপুল পরিমাণ টাকার যোগান কোথা থেকে এল, মূলত সে ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই ওই তৃণমূল নেতা তথা ব্যবসায়ীকে ডাকা হয়েছে। তিনিও অনুব্রতর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। এর আগে অনুব্রতর আর এক ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী মলয় পিটকে একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। তিনিও অনুব্রতর স্ত্রীর চিকিতসার জন্য ৬৬ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন। সিবিআই সে ব্যাপারেই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে।
আরও পড়ুন: COURT QUESTIONS ED: সায়গল কাণ্ডে আদালতের প্রশ্নের মুখে ইডি
তৃণমূলের অন্দরের খবর, সিবিআই ফের অনুব্রত ঘনিষ্ঠদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করবে। সিবিআই অনুব্রতর বিরুদ্ধে গরু পাচার-কাণ্ডে যে ৩৫ পাতার চার্জশিট দিয়েছে, তাতে সাক্ষী হিসেবে ৫৫ জনের নাম রয়েছে। তাঁদের মধ্যে বীরভূমের তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়েরও নাম রয়েছে। এর অর্থ হল, পরবর্তী সময়ে আদালত শতাব্দীকেও ডাকতে পারে। এমনিতেই তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রতর সঙ্গে শতাব্দীর তিক্ত সম্পর্কের কথা তৃণমূলের সকলেই জানে। গত বিধানসভা ভোটের আগে সেই সম্পর্ক কিছুটা ভালো হয়েছে। অনুব্রত ইডির জালে ধরা পড়ার পর বীরভূমে তৃণমূলের এক জনসভায় সাংসদ বলেন, আমাদের অনুব্রতর পাশে থাকতে হবে।