আগরতলা: এক কলেজ ছাত্রীকে চলন্ত গাড়িতে তুলে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল। ঘটনাটি ঘটেছে বিজেপি শাসিত ত্রিপুরায়। পশ্চিম ত্রিপুরার আমতলি বাইপাসে ওই তরুণীকে ফেলে দিয়ে যাওয়া হয় বলে অভিযোগ। তরুণীটি এখন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা কষছেন। সোমবার ভোরের দিকে গণধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে বলে জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। তরুণীকে জি বি পন্থ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গণধর্ষণে জড়িত থাকার অভিযোগে বুধবার পুলিশ মূল অভিযুক্ত গৌতম শর্মা নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও কারা জড়িত তা জানার চেষ্টা চলছে। মহকুমা পুলিশ আধিকারিক আশিস দাশগুপ্ত বলেন, গত সোমবার তরুণীকে ওই মূল অভিযুক্তের সঙ্গে গাড়িতে দিনভর ঘুরতে দেখা গিয়েছে। পরে গভীর রাতে সুযোগ বুঝে তরুণীকে একলা পেয়ে সে তাকে ধর্ষণ করে এবং ফাঁকা-নির্জন জায়গায় ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায়। পুলিশ তদন্ত করে জানতে পেরেছে, তরুণীর সঙ্গে ওই অভিযুক্তের নিয়মিত কথাবার্তা চলত। তার সঙ্গে অন্য কেউ জড়িত কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee | বাংলার শাড়ির দোকান হবে প্রতি ব্লকে, মমতার স্বপ্নের প্রকল্প ঘোষণা
তরুণীর মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে। মায়ের অভিযোগ, তাঁর মেয়ে গাড়িতে লিফট চেয়েছিল। কলেজ থেকে ফেরার সময় ওই যুবক তাকে নামিয়ে দেবে বলে গাড়িতে তুলে নেয়। গাড়ির ভিতরে মেয়েকে যৌন নির্যাতন করা হয়। ওই ছেলেটির সঙ্গে আরও দুজন যুবক তাঁকে গণধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। তারপর খবর পেয়ে বাড়ির লোক গিয়ে মেয়েটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।
এই খবর ছড়িয়ে পড়ার পরই বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক পাপিয়া দত্ত মহিলা মোর্চার দলবল নিয়ে হাসপাতালে গিয়ে তরুণীর খোঁজখবর নেন। তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহার নির্দেশে হাসপাতালে গিয়েছিলেন। আমরা এই ঘটনার তীব্র ভাষায় নিন্দা করি। অভিযুক্তদের কঠোরতম শাস্তির দাবি জানান পাপিয়া। তিনি আরও বলেন, এই ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীর দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশই প্রমাণ করে তিনি মহিলা নির্যাতন কোনওমতেই বরদাস্ত করবেন না। আমরা এবং আমাদের দল ওই তরুণীর পাশে আছে। সরকার পরিবারকে সমস্ত রকমের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।