বেঙ্গালুরু: কর্নাটকে বিজেপিকে সম্পূর্ণ পর্যুদস্ত করে ক্ষমতায় এসেছে কংগ্রেস (Congress)। মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন তা ঠিক করতেই রবিবার আনুষ্ঠানিক বৈঠকে বসেছিল কংগ্রেসের নেতৃত্ব। নতুন মুখ্যমন্ত্রীর কে হবেন সেই সিদ্ধান্ত নেবেন দলের সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে। বৈঠকে এই প্রস্তাবই পাশ হয়েছে। তার মধ্যেই দাক্ষিণাত্যের এই রাজ্যের নতুন মুখ্যমন্ত্রীর শপথ গ্রহণের দিন ঘোষণা হয়ে গেল। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী বৃহস্পতিবার অর্থাৎ ১৮ মে শপথ নেবে কর্ণাটকের নতুন মুখ্যমন্ত্রী। ওই দিনই নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যরাও শপথগ্রহণ করবেন। তবে আগামী দু-এক দিনের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করা হবে বলে কংগ্রেসের তরফে জানানো হয়েছে।
বিজেপিকে গুঁড়িয়ে দিয়ে কর্ণাটকে (Karnataka Election) একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে কংগ্রেস। বিপুল সাফল্যের মধ্যেই একটা প্রশ্ন ঘুরছে কে হবেন নতুন মুখ্যমন্ত্রী। রবিবার বিকেলে বেঙ্গালুরুর এক পাঁচতারা হোটেলে মুখ্যমন্ত্রী বাছাই করতে বৈঠকে বসেছে কংগ্রেস নেতৃত্ব। সিদ্দারামাইয়া নাকি ডি কে শিবকুমার, মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে কে বসবেন, এখনও সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি বলেই সূত্রের খবর। জানা গিয়েছে, আগামী ১৮ মে শপথ নেবে কর্ণাটকের নতুন মন্ত্রিসভা। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারেন রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। এছাড়াও গান্ধী পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও উপস্থিত থাকবেন বলেই জানা গিয়েছে। মল্লিকার্জুন খাড়গে সহ দলের একাধিক হেভিওয়েট নেতামন্ত্রীরা শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে থাকবেন।
মুখ্যমন্ত্রী বাছাইয়ের মধ্যেই ডি কে শিবকুমার রবিবার বলেন, যে তিনি দলের জন্য বহুবার আত্মত্যাগ করেছেন। শিবকুমার, যিনি কর্ণাটক প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সভাপতি, কংগ্রেসের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারী। এদিন মুখ্যমন্ত্রীর পদ নিয়ে শিবকুমার বলেন, কেউ কেউ বলছেন যে সিদ্দারামাইয়ার সঙ্গে আমার মতপার্থক্য আছে, কিন্তু আমি স্পষ্ট করতে চাই যে আমাদের মধ্যে কোনও মত পার্থক্য নেই। অনেকবার আমি দলের জন্য আত্মত্যাগ করেছি এবং সিদ্দারামাইয়াজির পাশে দাঁড়িয়েছি। আমি সিদ্দারামাইয়াকে সহযোগিতা করেছি। মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন এদিনের বৈঠকে নবনির্বাচিত বিধায়কদের মত জানতে চাওয়া হয়েছে। সবার মত নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে কংগ্রেস সূত্রের খবর।
মোদি যেখানে কংগ্রেস হীন ভারতের ডাক দিয়েছিল সেখানেই শনিবার বিজেপির বিজয় রথকে থামিয়ে ১৩৫টি আসনে জিতে কর্নাটকের ক্ষমতায় এসেছে কংগ্রেস। লোকসভা নির্বাচনের আগে জন্য বাড়তি অক্সিজেন জুগিয়েছে। জাতীয় রাজনীতির দিকে নজর রাখলে দেখা যাবে নবীণ-প্রবাণের দ্বন্দ্ব, দলের নেতা মন্ত্রীদের অন্তর্দ্বন্দ্ব, সাংগঠনিক দূর্বলতার জেরে বেশ কয়েকটা রাজ্য হাত ছাড়া হয়েছে। সদ্য জয়ী কর্নাটক, ছত্তিশগড় সহ কয়েকটা রাজ্য হাতে রয়েছে। তাই দক্ষিণের এই রাজ্যের কে হবেন মুখ্যমন্ত্রী তা ঠিক করতে তাড়াহুড়ো করতে নারাজ শতাব্দীপ্রাচীন এই দল। ধীরে চল নীতি নিয়ে সব দিক ভেবেই সিদ্ধান্ত নেবে শীর্ষ নেতৃত্ব।