নয়াদিল্লি: ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর (Rajib Gandhi) ৬জন হত্যাকারী সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে। এর আগে রাজীবের এক হত্যাকারীকে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) ৩১ বছর পরে সম্প্রতি বাকিদের মুক্তি দেওয়ায় কংগ্রেস সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছে।
কংগ্রেস মুখপাত্র অভিষেক মনু সিংভি জানিয়েছেন, রাজীব গান্ধীর হত্যাকারীদের মুক্তি দেওয়ার বিরোধী কংগ্রেস। কংগ্রেস নেতা (Congress leader) জয়রাম রমেশও সুপ্রিম কোর্টের (supreme court) এই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করেছেন। তিনি বলেছেন, সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্ত দুভার্গ্যজনক। সুপ্রিম কোর্টের এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করছে না কংগ্রেস। কারণ সিদ্ধান্তটা ভুল।
এরপর বিষয়টি নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানালেন কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর (Shashi Tharoor)। বুধবার কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর বিষয়টি নিয়ে প্রতিক্রিয়া (reaction) জানালেন জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীর হত্যাকারী নাথুরাম গডসেকে লেখা মহাত্মার ছেলে রামদাসের লেখা একটি চিঠি প্রকাশ করে। ওই চিঠিতে (letter) রামদাস লিখেছেন, আপনি একদিন উপলব্ধি করবেন আমার বাবার নশ্বর শরীরটাকেই আপনি পৃথিবী থেকে সরিয়ে দিয়েছেন। এর বাইরে আপনি কিছুই করতে পারেনি। আমার বাবার আদর্শ বিশ্বের লক্ষ লক্ষ মানুষের হৃদয়ে থেকে যাবে।
আরও পড়ুন: Face Mask Optional on Flights: বিমানে মাস্ক পরে ওঠা আর বাধ্যতামূলক নয়, সুপারিশ কেন্দ্রের
নাথুরাম গডসের উদ্দেশে গান্ধীপুত্র রামদাস ওই চিঠিটি লেখেন ১৯৪৯ সালের ১৭ মে। সেইসময়ে ওই চিঠিতে রামদাস বলেছেন, আপনি এমন একটা সময়ে আমার বাবাকে হ্ত্যা করলেন, যখন সারা পৃথিবীর মানুষ শান্তির জন্যে তৃষ্ণার্ত। আপনি আমার বাবাকে হত্যা করেছেন সম্পূর্ণভাবে ভুল বুঝে।
রামদাস ওই নাথুরামকে চিঠিটি লেখার আর একটি চিঠির কপি পাঠান তৎকালীন রাষ্ট্রপতি রাজা গোপালাচারীকে। সেই চিঠিতেও রামদাস আবেদন জানান, নাথুরাম গডসের (Nathuram Godse) মৃত্যুদণ্ডের আদেশ যেন রদ করে করা হয়।
রাজীব হত্যাকারীদের মুক্তি পরে কংগ্রেসে ভিন্নমত দেখা দিয়েছে। সেই প্রেক্ষিতে শশী থারুর নাথুরামকে গান্ধী পুত্র রামদাসের লেখা চিঠিটি জনসমক্ষে আনাটা তাৎপর্যপূর্ণ ব্যাপার বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। থারুর বিতর্কও কিছুটা উসকে দিয়েছেন। ২০০০ সালে সোনিয়ার গান্ধীর (Sonia Gandhi) হস্তক্ষেপে রাজীবের অন্যতম হত্যাকারী নলিনীর মৃত্যুদণ্ডের সাজা রদ হয়। এরপর ২০০৮ সালে ভেলোর জেলে গিয়ে নলিনীর সঙ্গে দেখা করেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। পরে প্রিয়াঙ্কা ও রাহুল বলেন, তাঁরা বাবার হত্যাকারীদের ক্ষমা করেছেন।