গত ৬ সপ্তাহ ধরে ইরান অশান্ত। নীতি পুলিশের হেফাজতে ২২ বছরের তরুণী মাসহা আমিনির মৃত্যুর পর থেকেই রক্তাক্ত ইরান। ইরানের নাগরিকরা মহিলাদের উপর চাপানো সরকারি পোশাকবিধির বিরুদ্ধে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে প্রতিবাদে সামিল। এই আন্দোলন কঠোরভাবে আন্দোলন দমন করার চেষ্টা করছে সরকার।
এপর্যন্ত মোট ১৭৬জনের মৃত্যুর হয়েছে বলে জানিয়েছে নরওয়েভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা ইরান হিউম্যান রাইটস। এই মানবাধিকার সংস্থা জানিয়েছে, ইতিমধ্যে পুলিশ অন্ততপক্ষে এক হাজার প্রতিবাদী নাগরিককে গ্রেফতার করে জেলে পুরেছে। এঁদের একাংশের মৃত্যুদণ্ডও হতে পারে বলে মানবাধিকার কর্মীদের আশঙ্কা। যাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে সকলের বিরুদ্ধেই দাঙ্গা বাঁধানোর মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এরপর তেহরানে বৃহস্পতিবার নিরীহ নাগরিকদের সমাবেশে পুলিশ গুলি চালিয়েছে। নাগরিকরাও পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছুড়েছে। ২২ বছরের প্রতিবাদী নাগরিক হাদিশ নাজাফির মৃত্যুর ৪০ দিন পরে শোকজ্ঞাপনের অনুষ্ঠানে জমায়েত হয়েছিলেন নাগরিকরা। ওই জমায়েতকে ঘিরেই গোলমালের সূত্রপাত। গত সেপ্টেম্বরে সরকারের চাপিয়ে দেওয়া পোশাকবিধির বিরুদ্ধে চলা নাগরিক আন্দোলনে যোগ দিয়ে পুলিশের হাতে খুন হন নাজাফি।
আরও পড়ুন: Kashmir: কাশ্মীরে বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা সাবির আহমেদের ২১ লাখ টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত
গতকাল তেহরানের যে গোরস্থানে শোকজ্ঞাপনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল সেখানে মানুষের প্রবেশ রুখতে মোতায়েন করা হয়েছিল প্রচুর পুলিশ। ওই অনুষ্ঠানে যাতে নাগরিকরা অংশ নিতে না পারেন, এজন্য হাইওয়ে দিয়ে গাড়ির চলাচল বন্ধ করে দিয়েছিল পুলিশ।
নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে জনতার সংঘর্ষ শুরু হওয়ার পরে পুলিশের গুলি চালনার ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। গতকাল ইরানের অন্যান্য শহরেও আন্দোলনে মৃতদের প্রতি শোকজ্ঞাপন অনুষ্ঠান উপলক্ষে এধরনের শোক সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছিল। আন্দোলনরত নাগরিকদের সম্মিলিতভাবে স্লোগান দিতে দেখা দেয়, ‘এখনই চাই স্বাধীনতা’।