সিমলা ও দেরাদুন: বর্ষার শুরু থেকেই লন্ডভন্ড হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড। একের পর এক মেঘভাঙা বৃষ্টি, হড়পা বান ও ধসে বহু প্রাণহানি এবং সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি হয়ে চলেছে। সোমবার সিমলার সামার হিল এলাকায় একটি শিবমন্দির ভেঙে অন্তত ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। পৃথক আরও দুটি ঘটনা মিলিয়ে মোট ২১ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। অন্যদিকে, উত্তরাখণ্ডের মালদেবতা এলাকায় এদিনই দেরাদুন ডিফেন্স কলেজ টানা বৃষ্টিতে ধসে পড়ে।
এদিন ছিল শ্রাবণ মাসের শেষ সোমবার সে কারণে প্রাচীন এই শিবমন্দিরে বৃষ্টি উপেক্ষা করেও বহু জনসমাগম হয়েছিল। তখনই আচমকা হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে মন্দিরটি। তার তলায় চাপা পড়ে মৃত্যু হয় ৯ জনের। এখনও ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়ে রয়েছেন অনেকে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধারকাজে তদারকি করছেন।
আরও পড়ুন: লাদাখের চিন সীমান্তে যুদ্ধসাজ ভারতের, ৬৮ হাজার সেনা, ট্যাঙ্ক, জেট বিমান মোতায়েন
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিপর্যয়ের সময় মন্দিরের ভিতর প্রায় ২৫-৩০ জন ভক্ত ছিলেন। অন্যদিকে, সোলান জেলার জাদোন গ্রামে মেঘভাঙা বৃষ্টিতে ৭ জনের মৃত্যু এবং ৩ জন নিখোঁজ রয়েছেন। দুটি ঘর এবং একটি গোয়াল জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে। গত ৫৫ ঘণ্টা ধরে টানা বৃষ্টিতে রাজ্যের অবস্থা শোচনীয়। মান্ডি, সিরমৌর, সিমলা, হামিরপুর, বিলাসপুর এবং সোলানে জনজীবন সম্পূর্ণ বিপর্যস্ত। কালকা-সিমলা, চণ্ডীগড়-মানালি, সিমলা-ধর্মশালা সহ জাতীয় ও রাজ্য সড়ক ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। আবহাওয়া দফতর আরও বৃষ্টি হবে বলে পূর্বাভাসে জানিয়েছে।
গাড়োয়াল হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত দেরাদুন ডিফেন্স কলেজে ন্যাশনাল ডিফেন্স অ্যাকাডেমি এবং ডিফেন্স সার্ভিসেসের পরীক্ষার প্রশিক্ষণ হয়। এমনকী আইআইটি এবং কারিগরি পাঠ্যক্রমও পড়ানো হয় এই কলেজে। যদিও হতাহতের কোনও খবর নেই। হিমাচলের মতোই উত্তরাখণ্ডের বহু বড় সড়ক ধসে বিপর্যস্ত। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যের ৬টি জেলায় আরও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
