পঞ্চায়েত নির্বাচনের মুখে জেলায় জেলায় চলছে বিজেপি নেতা-কর্মীদের ভিতর নতুন-পুরনোর দ্বন্দ্ব। রাজ্য বিজেপির ক্ষমতাসীন নেতৃত্বের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তৃণমূলের অত্যাচার সহ্য করে যাঁরা এতদিন লড়াই চালিয়েছেন তাঁরাই দলে কোনও গুরুত্ব পাচ্ছেন না। রাজ্যে বছরের পর বছর ধরে যে নেতা-কর্মীরা বিজেপিকে শক্তিশালী করেছেন তাঁদের কোণঠাসা করে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে ২০১৯ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে বিজেপিতে আসা নেতাদের। সেই দলবদলুরাই এখন বিজেপি চালাচ্ছে। এর ফলে আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে গোটা বিজেপি দলটাই বাংলায় গুরুত্বহীন হয়ে পড়বে। এর সুবিধা নেবে সিপিএম। এছাড়া ২০২৬-এর নির্বাচনের আগে রাজ্য রাজনীতিতে বিজেপি আর প্রধান বিরোধী রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে অস্তিত্ব বজায় রাখতে পারবে না বলে অনুযোগ বিক্ষুব্ধ বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসুর।
এই মর্মে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডাকে দীর্ঘ চিঠি লিখেছেন রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু। ওই চিঠিতে সায়ন্তনের অভিযোগ, এখন রাজ্য বিজেপি চালাচ্ছে ৫-৬জন নেতার সিন্ডিকেট। সিন্ডিকেট চালাচ্ছেন নবাগত নেতারা।
সায়ন্তনের আরও অভিযোগ, আশির দশকের গোড়া থেকে অক্লান্ত লড়াই করে ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় বিজেপির সাফল্যের নেপথ্যে যে সমস্ত নেতা-কর্মীর অবদান ছিল দলে এখন তাঁদেরই কোনও জায়গা হচ্ছে না। এর জেরে গত বিধানসভা ভোটে বেশ কিছু আসনে পরাজিতও হয়েছে বিজেপি।
নাড্ডাকে লেখা ওই চিঠিতে সায়ন্তন এও বলেছেন, আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি গুরুত্বহীন হয়ে পড়লে লড়াইটা হবে মূলত তৃণমূল ও সিপিএমের মধ্যে। নাম না করে তিনি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং একাধিক সাংসদকে বিঁধেছেন। প্রসঙ্গত, গত বিধানসভা ভোটের পরই দিলীপ ঘোষকে সরিয়ে রাজ্য বিজেপির সভাপতি করা হয় সাংসদ সুকান্ত মজুমদারকে। তিনি ক্ষমতায় বসার পরে একাধিক সাংগঠনিক পদে রদবদল ঘটান। সায়ন্তনের মতো রাজ্য বিজেপির অনেক নেতা গুরুত্ব হারান। দলে তাঁরা বেশ কোণঠাসা হয়ে পড়েন।