কলকাতা: বালিগঞ্জের গজরাজ গ্রুপের (Gajraj Group) অফিসে তল্লাশি চালিয়ে প্রায় দেড় কোটি টাকা উদ্ধার (Money Recovered) করেছে ইডি (ED)। পাশাপাশি বেশকিছু নথি ও একটি কম্পিউটার বাজেয়াপ্ত করেছে। এখন ওই বিপুল পরিমাণ টাকা এখানে কেন রাখা ছিল এবং তারই উৎস কী, তারই সন্ধান করছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট (Enforcement Directorate)। বিভিন্ন জায়গা থেকে তথ্যের তল্লাশি চালাচ্ছে ইডি। বৃহস্পতিবার ওই সংস্থার ডিরেক্টর ও অ্যাকাউন্ট্যান্টকে তলব করেছে ইডি।
ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার আলিপুরের চক্রবেরিয়া এলাকায় ১০ কাটা জমির উপরের একটি সম্পত্তি রেজিস্ট্রি হয়। দক্ষিণ কলকাতার এক ধাবার মালিক ওই সম্পত্তিটি কিনেছেন। ওই টাকা কয়লাপাচার কাণ্ডের (Coal Scam) টাকাতেই কেনা হয়েছে বলে ইডি সূত্রে খবর। যদিও এই টাকার কোনও উৎস নেই, তা অপরাধ বলে মনে করছে ইডি আধিকারিকরা। ওই সম্পত্তির মূল্য ১০ কোটি টাকার বেশি বলে দাবি ইডির। সেই সূত্র ধরেই গতকাল বালিগঞ্জের ওই নির্মিয়মান সংস্থায় তল্লাশিতে যায় ইডি। ইডি সূত্রে আরও জানা যায়, গতকাল বিকাল সাড়ে ৪টে নাগাদ একটি কালো এসইউভি গাড়ি ওই সংস্থার অফিসে ঢোকে। মিনিট ১৫-র পর গাড়িটি বেরিয়ে যায়। তার ঠিক পাঁচ মিনিট পর তল্লাশি অভিযানে আসে ইডি।
ইডি সূত্রে খবর, বুধবার সারা রাত তল্লাশি চালানোর পর বৃহস্পতিবার ভোর ৪টে নাগাদ বালিগঞ্জের দফতর থেকে বেরিয়ে যান ইডি আধিকারিকেরা। কয়লা পাচারকাণ্ডের তদন্তের সূত্রে এই সংস্থার নাম প্রকাশ্যে আসে বলে ইডি সূত্রে খবর। একইসঙ্গে এই সংস্থার মাধ্যমে কয়লা পাচারকাণ্ডের টাকা বিনিয়োগ করে কালো টাকা সাদা করা হত বলে সন্দেহ করছে তদন্তকারীরা।
আরও পড়ুন:CBI Investigation on Boy Death: সরকারি হোমে বিচারাধীন নাবালকের মৃত্যুতে সিবিআই তদন্ত
ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়লা কাণ্ডের (Coal Scam) তদন্তে ইডি একটি যোগসূত্র পায়। যেখানে শহরের এক নামী ধাবার মালিক মনজিত সিং জিত্তারের যোগ পায়। তার খোঁজে দিল্লি থেকে মঙ্গলবার কলকাতায় আসে ইডির একটি দল। গোপনীয়তা বজায় রেখে বুধবার সকালে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্স থেকে একটি টিম রওনা দেয় বালিগঞ্জের উদ্দেশ্যে।মনজিতের খোঁজ পায়নি। তবে তাঁর ব্যবসায়িক সঙ্গী বিক্রম শেখরিয়াকে লাগাতার জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি কর্তারা। দক্ষিণ কলকাতার বালিগঞ্জে একটি অফিসে তল্লাশি চলে। ওই গ্রুপের একাধিক নামে কোম্পানি (Company) আছে বলে ইডি জানতে পারে। সন্ধ্যা পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী, ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা উদ্ধার হয়েছে। টাকা গোনার কাজ চলছে। তল্লাশি অভিযানও চলছে।
আরও পড়ুন:Burdwan Train cancel: ওভারব্রিজ ভাঙতে বাতিল ট্রেন, বর্ধমান স্টেশনে যাত্রীদের তুমুল ভোগান্তি
অভিযোগ, কয়লাপাচার কাণ্ডে যে টাকা উদ্ধার হয়েছে তা মূলত এই সংস্থায় খাটানো হয়েছিল। ২০০৫ সালে ওই কোম্পানির পথ চলা শুরু হয়। এই কোম্পানির অধীনে ৩০টি সংস্থা চলছে। বিপুল কালো টাকা বৈধ করার ক্ষেত্রে এই টাকা খাটানো হয়। কোনও প্রভাবশালীর টাকা এখানে আছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।