মুম্বই: ভারতীয় বিজনেস টাইকুন মুকেশ আম্বানির (Indian Business Tycoon) সংস্থা রিলায়েন্স রিটেইল ভেঞ্চার্স (Reliance Retail Ventures) জার্মান রিটেইলার সংস্থা মেট্রো এজি (German retailer Company Metro AG)-এর ভারতীয় ইউনিট (India Unit) কিনতে চলেছে। মেট্রো ক্যাশ অ্যান্ড ক্যারি (Metro Cash & Carry) অধিগ্রহণের জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থ খরচ করছে রিলায়েন্স। বৃহস্পতিবার এই কথা ঘোষণা করা হয়েছে দুই সংস্থা তরফে। ভারতীয় মুদ্রায় এই পরিমাণ ২,৮৫০ কোটি টাকা (৩৪৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার)। বলা হচ্ছে, এর ফরে আগামী দিনে খুচরো শিল্প অর্থাৎ রিটেইল ইন্ডাস্ট্রি (retail industry)-তে দুর্দান্ত গতি আসতে চলেছে।
জানা গিয়েছে, এই চুক্তির ফলে মুকেন আম্বানির এই কোম্পানি পাইকারি ক্ষেত্রে (Wholesale Market) যেমন নিজের অবস্থান মজবুত করতে পারবে, তেমনই ইলেক্ট্রনিক্স (Electronics), কাঁচা আনাজ (Groceries) এবং পোশাক-আশাক জাতীয় ফ্যাশন (Fashion) পণ্যদ্রব্য সহ খুচরা শিল্পে ভারতের বৃহত্তর সংস্থা হিসেবে নিজেকে মেলে ধরবে। মুকেশ আম্বানি পরিচালিত সংস্থা ভারতের ঋণগ্রস্ত কোম্পানি ফিউচার রিটেইল লিমিটেড (Future Retail Ltd.) কেনার দৌড়েও রয়েছে, প্রতিদ্বন্দ্বী আরেক ভারতীয় ধনকুবের ব্যবসায়ী গৌতম আদানি (Gautam Adani)।
আরও পড়ুন: Chicken Tikka Masala: প্রয়াত হলেন চিকেন টিক্কা মশালার আবিষ্কর্তা আলি আহমেদ আসলাম
চলতি মাসের শুরুর দিকে জার্মান সংস্থা মেট্রো তাঁর বেলজিয়ামের ইউনিট (Belgium Unit) বিক্রি করেছে, তাদের প্রত্যাশা, ভারতের ব্যবসা হস্তান্তরিত করার ফলে তাদের হাতে ১৫০ মিলিয়ন ইউরো (১৫৯.১৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) আসবে।
উল্লেখ্য, ভারতে ২০০৩ সাল থেকে ব্যবসা করে আসছে মেট্রো। এবিষয়ে প্রকাশিত রিপোর্ট বলছে, গত সেপ্টেম্বরে শেষ হওয়া সংশ্লিষ্ট অর্থবর্ষে প্রায় ৯২৬ মিলিয়ন ইউরোর ব্যবসা করেছে তারা। ২১টি শহরে মোট ৩১টি স্টোর রয়েছে তাদের, মূলত রেস্তরাঁ এবং ছোট ব্যবসায়ী সংস্থাগুলির (Restaurants and Smaller Businesses) কাছে তারা মালপত্র ও পণ্যদ্রব্য সরবরাহ করে থাকে।
ব্যবসা বিক্রি করা সম্পর্কে মেট্রো সংস্থার মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক স্টেফান গ্রেবুয়েল (Metro Chief Executive Officer Steffen Greubel) বলেছেন, ব্যবসার বাজার যেভাবে গতিময় হয়ে পড়ছে, তাতে বড় পরিমাণ বিনিয়োগ দরকার ব্যবসা আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে। ভারতীয় ইউনিটের বিক্রি সংক্রান্ত চুক্তি সম্পূর্ণ হয়ে গেলে অন্যান্য দেশে তাদের যে ব্যবসা রয়েছে, তার উপর আরও বেশি করে নজর দিতে পারবে। দুই সংস্থারই আশা, ২০২৩-এর মার্চের মধ্যে এই চুক্তি সম্পূর্ণ হয়ে যাবে।