চেন্নাই: মন পাখি (Bird) উড়ে (Fly) যেতে চায়। অনেকেই ভাবেন, যদি পাখি হতাম। কখনও ডানামেলতাম সাত সমুদ্রের (Ocean) নীল (Blue) জলরাশির উপর। কখনও অ্যামাজনের ঘন জঙ্গলের লম্বা গাছে টোকা দিতাম। বরফাবৃত (Ice) পাহাড়ের (Hill) গা দিয়ে স্বচ্ছ ফটিকের দৃশ্যে চোখ দিয়ে বিনুনি কাটতে কাটতে এগিয়ে যেতাম। পরিযায়ী পাখির চোখে বার্ডস আই ভিউ দিয়ে পৃথিবী (World) দেখতে কল্পনা করেন সবাই। পাখি ভালোবাসেন (Bird Lover) না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া বিরল। আর নিখাদ পক্ষীপ্রেমী হলে তো কথায় নেই। পাখির টানে হ্রদ (Lake), জঙ্গল Forest), চিড়িয়াখানা (Zoo), পক্ষীশালায় (Bird Sanctuary) হাজির হতেই হবে। তাকে ক্যামেরবন্দি করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাগ করে নিলে তবেই যেন শান্তি। মধ্যপ্রাচ্য (Middle East-Tropical Sub Tropical Area) থেকে উড়ে আসা পরিয়ায়ী ফ্লেমিংগোর মতো মরশুমি পাখির আনোগোনা থাকলে তো মন টানবেই। ঠিক এজন্যই প্রতিবছর তামিলনাড়ুর (Tamilnadu) কোদিয়াক্করাই (Kodiyakkarai) পয়েন্ট ক্যালিমেরে (Point Calimere) পর্যটকরা ভিড় জমান। এবার ইতিমধ্যে মুত্থুপেত্তাই (Muthupettai) ম্যানগ্রোভে (Mangrove) ৫০ হাজারের বেশি ফ্লেমিংগো হাজির হয়েছে। সেখানকার স্থানীয়রা জানিয়েছেন, দেখে মনে হচ্ছে এবার রেকর্ড ছাড়াবে ফ্লেমিংগোর (Flamingos) আনাগোনা।
রঙ বেরংয়ের পাখনা। লম্বা গ্রীবা। এঁকে বেঁকে আলপনা কাটতে কাটতে একসঙ্গে সমাজবদ্ধ হয়ে উড়ে যাওয়া। অপরূপ সৌন্দর্যের প্রতীক। সারা পৃথিবী জুড়ে তাই প্রকৃতি প্রেমীদের কাছে ফ্লেমিংগোর কদর। তামিলনাড়ুর পয়েন্ট ক্যালিমেরে সমুদ্রের ধারে থাকা ম্যানগ্রোভ অরণ্যে তারা অস্থায়ী বাসা বাঁধে। তবে প্রিয় জায়গা বিস্তৃত জলরাশি। শীত পড়লে ফ্লেমিংগোরা চলে আসে। মার্চ মাস পর্যন্ত তারা সেখানে থাকে।
আরও পড়ুন: KIFF Chanchal Haoa: চলচ্চিত্র উৎসবে চঞ্চল ‘হাওয়া’ ঘিরে ভিড়
ভালো বৃষ্টি না হওয়াই পাঁচ বছর সেভাবে ফ্লেমিংগোর ঝাঁক দেখতে পাননি দর্শকরা। তবে গত বছরে তার ব্যত্যয় ঘটিয়ে লক্ষাধিক ফ্লেমিংগোর ডানা মেলা চাক্ষুষ করেছিলেন পর্যটকরা। এবার সেই সংখ্যাও ছাড়াতে পারে। কারণ, এবার পর্যাপ্ত বৃষ্টি (Abundant Rain) সহ আবহাওয়া (Weather) ফ্লেমিংগোদের অনুকূলে।
ইরান (Iran), আফ্রিকা (Africa) সহ সংলগ্ন এলাকা থেকে শীতের সময় মহাসমুদ্র পেরিয়ে তারা হাজির হয় ভারতের বেশ কয়েকটি জায়গায়। তার মধ্যে গুজরাত, মহারাষ্ট্র, ওডিশা ছাড়াও রয়েছে তামিলনাড়ুর ওই পয়েন্ট ক্যালিমেরে। যাঁরা ইতিমধ্যে ওই অপূর্ব দৃশ্য উপভোগ করেছেন তাঁদের কেউ প্রকাশ করছেন বিস্ময়। কারও মুগ্ধতার ঘোর কাটছে না। এক পক্ষীপ্রেমীর কথায়, পাখির আবেদন চিরন্তন। মাকে খুঁজে পেতে ‘ও তোতাপাখির শিকল খুলে উড়িয়ে দেব আমার মাকে যদি এনে দাও’। কিংবা হালফিলের ‘যাও পাখি বলো’ সহ পাখি নিয়ে গান আমাদের মনে চিরকালীন আবেগের জায়গা করে নিয়েছে।
.