খড়গপুর: সম্পর্কটা ছিল প্রেমের (Love)। তবে পরকীয়া (Extra Marital Affair)। না, ১-২ মাস বা ৬ মাসের নয়! গত ৬ বছর ধরে ছিল পরকীয়ার সম্পর্ক (Relation)। শুধু তাই নয়, সেই প্রেমের টান এতটাই ছিল যে লিভ ইন (Live In) করত তরুণ আর পবিত্রা। যতটুকু পড়লেন ততটুকুতে দোষের কিছু নেই। কিন্তু তারপর যা ঘটেছে তা হাড় হিম করা ঘটনা। হ্যাঁ, ভয়ঙ্করতম ঘটনা… হার মানাবে যে কোনও ক্রাইম থ্রিলারকে (Crime Thriller)।
লিভ ইন-এর এই সম্পর্ক প্রথমের দিকে ভালো ভাবেই এগিয়ে চলছিল। কিন্তু কিছু দিন পরেই সুর কাটল…
লিভ ইন-এর কিছুদিন পর প্রায় প্রতিদিনই মদ্যপ অবস্থায় ঘরে আসত প্রেমিক তরুণ সিং (৪২)। গোলমাল শুরু সেখান থেকেই। বারবার মদ খেতে না করায় তরুণ অত্যাচার চালাত প্রেমিকা পবিত্রা সিং(৩২)-এর ওপর। আর এই অত্যাচার চরম পর্যায়ে যখন পৌঁছল, তখন কেস হিস্ট্রিতে উঠে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: Sharmila Reddy: গাড়ি সহ অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রীর বোনকে ক্রেন দিয়ে তুলে নিয়ে গেল তেলঙ্গনা পুলিশ
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, খড়গপুরের খেমাশুলি সংলগ্ন ভালুকমাচা গ্রামে প্রেমিক তরুণ খুন করে মাটিতে পুঁতে দিয়েছে প্রেমিকা পবিত্রাকে। হ্যাঁ, ঠিকই পড়ছেন, এটাই সত্যি। আর এই ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে গতকাল অর্থাৎ সোমবার। মঙ্গলবার ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে মাটিতে পুঁতে দেওয়া পবিত্রা সিংয়ের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ধৃত তরুণের স্ত্রী-সন্তান রয়েছে। আর পবিত্রার স্বামী-সন্তান রয়েছে। এদেরকে ছেড়েই তরুণ-পবিত্রা লিভ ইন করত গত ৬ বছর ধরে।
তাহলে এই ঘটনা সামনে এল কী করে?
যেখানে এই লিভ ইন পার্টনার কুঁড়ে ঘর বানিয়ে থাকত, সেখানে তরুণ আর পবিত্রা নিজেদের স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে থাকত। কিন্তু সোমবার সাড়ে তিনটে নাগাদ পবিত্রার মৃত্যু হয়েছে বলে কয়েকজন গ্রামবাসীর বাড়িতে গিয়ে জানান তরুণ। দাহ করার জন্যে ওঁদের সহায়তা চান। গ্রামবাসীরা তখন তরুণকে জানান, তাঁরা চাষের কাজে ব্যস্ত আছেন। যেতে খানিক সময় লাগবে। তারপর পুলিশ জানিয়েছে, আর দেরি না করে তরুণ পবিত্রার মৃতদেহ মাটিতে পুঁতে দেয়। যা পরে টের পায় গ্রামবাসীরা। তারপরই তাঁরা পুলিশে খবর দেয়।
প্রসঙ্গত, পবিত্রার মৃতদেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। এখনও ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পায়নি পুলিশ। এদিন তরুণ সিংকে খড়গপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয়েছে। এদিকে এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে । ঘটনাস্থল ঘিরে রেখেছে পুলিশ।