জেলা থেকে কলকাতার হাসপাতালে রোগী রেফার (patient referral) বেড়ে যাওয়ায় ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সোমবার নবান্নে(Nabanna) স্বাস্থ্য নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠকে এ নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। মমতা বলেন, রেফার এত বাড়ছে কেন। আমি এ সব আর বরদাস্ত করব না। রেফার বন্ধ করতেই হবে। তাঁর অভিযোগ, প্রসূতিদের (pregnant women) পর্যন্ত কলকাতায় রেফার করা হচ্ছে। ওই চার-পাঁচ ঘণ্টার মধ্যেই তো কোনও বিপদ হতে পারে। মুখ্যমন্ত্রী (Chief Minister) এদিন স্বাস্থ্যসচিব (health secretary) নারায়ণ স্বরূপ নিগমকেও (Narayan Swaroop Nigam) রীতিমতো ধমক দেন। তিনি বলেন, তোমাকে আরও স্ট্রং হতে হবে। তুমি এমনি ভালোমানুষ। কিন্তু তোমাকে ঘিরে নানা ধরনের লোক আছে।
এদিন স্বাস্থ্যকর্তাদের (health officials) একহাত নেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানতে চান, কর্তারা কখনও সারপ্রাইজ ভিজিট দেন কি না। তিনি বলেন, আপনারা কখনও কখনও ছদ্মবেশে হাসপাতাল ভিজিট করবেন। কখনও চাদর গায়ে দিয়ে, কখনও নকল দাঁড়ি, গোঁফ লাগিয়ে ভিজিট করুন। আগে একজন স্বাস্থ্যকর্তা ছিলেন, তিনি এভাবে আচমকা হাসপাতাল পরিদর্শন করতেন।
আরও পড়ুন: Khanakul TMC: খানাকুলে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকট, জেলা সভাপতিকে ঢুকতে না দেওয়ার হুমকি
মুখ্যমন্ত্রীর হুমকি, স্বাস্থ্যক্ষেত্রে আমি কোনও গাফিলতি (negligence in healthcare ) সহ্য করব না। কেন এত নেগলিজেন্স হবে। তাঁর অভিযোগ, জেলায় জেলায় স্বাস্থ্যসাথী কার্ড(Swasthya Sathi Card) নিয়ে নানা জালিয়াতি হচ্ছে। আমার কাছে সব খবর আসছে। এ ব্যাপারে কিন্তু সতর্ক থাকতে হবে। যারা জালিয়াতি করছে, তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে হবে। নিয়মিত নজরদারি চালাতে হবে। স্বাস্থ্যসাথী নিয়ে কোনও অনিয়ম আমি হতে দেব না।
আরও পড়ুন: Jhalda Congress: ঝালদা পুরসভা তৃণমূলের হাতছাড়া হল, কংগ্রেসের হাতে এল বোর্ড
মুখ্যমন্ত্রী এদিন কলকাতা শহরের সাফাই নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, সাফাইযের কাজ ভালোভাবে হচ্ছে না। প্রিন্সেপ ঘাটের কোনও সংস্কার হয়নি। হাওড়ার ফোর শোর রোডে আলো জ্বলে না। ডেঙ্গি নিয়ে সকলকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন মুখ্যমন্ত্রী। নিয়মিত যাতে জঞ্জাল পরিষ্কার হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।