হাওড়া: ২০১১ সালে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে প্রথমবার শপথ নেওয়ার পরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, শিল্পায়নই তাঁর প্রধান লক্ষ্য। গত ১০ বছরে রাজ্যের নানা প্রান্তে ছোট-বড় শিল্প গড়ে উঠেছে। মুখ্যমন্ত্রী বরাবরই ক্ষুদ্র শিল্পের প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। হাওড়ার প্রশাসনিক বৈঠক থেকে এ বার কাশফুল থেকে শিল্প গড়ে তোলার কথা বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, পুজোর একমাস কাশফুল হয়। কাশফুলটাকে কেমিক্যালি পরিবর্তন করে কাজে লাগানো যেতে পারে। এগুলো সময়ে হয়, সময়ে ঝরে যায়। কিন্তু কোনও কাজে লাগে না। কাশফুল থেকে বালিশ এবং বালাপোশ তৈরি করা যেতে পারে। যাদের কেনার ক্ষমতা আছে, তাঁরা প্রচুর টাকা দিয়ে সেই বালিশ কিনতে পারে। এই বালিশের ভালোই চাহিদা হবে বলে আশাপ্রকাশ করেন মমতা।
আরও পড়ুন: হাওড়ায় ১০ হাজার কোটির বিনিয়োগ, ১ লক্ষ কর্মসংস্থানের দিশা মমতার
কাশফুল ঘাস জাতীয় উদ্ভিদ। মূলত শরৎকাল অর্থাৎ সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি থেকে অক্টোবর মাসের শেষ পর্যন্ত কাশফুল ফোটে। সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি বা শেষের দিকে কাশফুলের দেখা বেশি পাওয়া যায়। কাশফুল পালকের মতো নরম এবং এর রঙ ধবধবে সাদা। নদীর ধার, জলাভূমি, চরাঞ্চল, শুকনো-রুক্ষ এলাকা, পাহাড় কিংবা গ্রামের কোনও উঁচু জায়গায় কাশের ঝাড় বেড়ে ওঠে। সেই কাশফুলকেই এ দিন শিল্পের কাজে ব্যবহার করার বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী।
হাওড়ায় শিল্পায়ন নিয়েও এ দিন বড় ঘোষণা করেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এই জেলায় শিল্প স্থাপনে যাতে কোনও সমস্যা না হয় তা সরকারের সমস্ত দফতরকে দেখতে হবে। জমি নিয়ে যাতে কোনও সমস্যা না হয় সে বিষয়ে নজর রাখতে হবে। আগামী দু’বছরে হাওড়ায় ১০ হাজার ৪৮০ কোটি টাকার বিনিয়োগ হবে। এর ফলে ১ লক্ষ ১৬ হাজার কর্মসংস্থান তৈরি হবে। হাওড়ায় শিল্প পার্কের কাজ আগামী ৫ বছরে শেষ হবে বলে জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন: বিক্ষোভ না করে জল সরানোর ব্যবস্থা করা উচিত, জমা জলে বসা বিধায়ককে ধমক মমতার