নেতাই: নেতাই (Netai) দিবসের আগেই নেতাই শহীদ স্মৃতিরক্ষা কমিটির উপদেষ্টামণ্ডলী থেকে বাদ দেওয়া হল ঝাড়গ্রামের (Jhargram) তৃণমূল (TMC) বিধায়ক তথা মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদাকে (Birbaha Hansda)। কমিটির সভাপতি নন্তু অধিকারী বলেন, দলের কোনও স্তরেই নেতাই এলাকার কাউকে রাখা হয়নি। সম্প্রতি অঞ্চল যুব তৃণমূল সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে জয় রায়কে। নেতাইয়ের মানুষ তাদের সুখ-দুঃখের কথা কাকে জানাবে। এর জন্যই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, দলের কাউকেই নেতাই শহিদ স্মৃতিরক্ষা কমিটিতে (Commitee) রাখা হবে না। তবে আমরা দলের সঙ্গেই ছিলাম, আছি, থাকব। আগামী ৭ জানুয়ারি নেতাই শহীদ (Martyred) দিবস। তার আগেই মন্ত্রী (Minister) বীরবাহা হাঁসদাকে স্মৃতিরক্ষা কমিটি থেকে বাদ দেওয়ার ঘটনায় তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ (Internal) কোন্দল তুঙ্গে উঠেছে। তৃণমূলের স্থানীয় যুবনেতা জয়ের সাম্প্রতিক (Recent) ফেসবুক (Facebook) পোস্টকে ঘিরেও নানা চর্চা শুরু হয়েছে।
স্মৃতিরক্ষা কমিটির সভাপতি নন্তু বলেন, নেতাইয়ের স্থানীয় নেতৃত্ব কেবল টিকিট পাওয়া নিয়ে ব্যস্ত। নেতাইয়ের উন্নয়ন নিয়ে যা করার, করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্থানীয় নেতারা কিছুই করেননি। নন্তু স্থানীয় নেতাদের জগাই-মাধাই বলেও কটাক্ষ করেন।
আরও পড়ুন: KALYANI AIIMS CID: কল্যাণী এইমসে দুর্নীতিতে ফের সিআইডি হানা, ভুয়ো নিয়োগপত্র এনে ধৃত দুই
এরই মধ্যে তৃণমূলের যুবনেতা জয় রায়ের কিছু ফেসবুক পোস্ট সামনে এসেছে। সেগুলিতে তিনি নানা বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন। যেমন, একটি পোস্টে তিনি লিখেছেন, বিনপুর ১ নম্বর ব্লকে তৃণমূল পার্টির প্রতীক (Symbol) নিয়ে ভিতরে ভিতরে ঝাড়খণ্ড পার্টি (Jharkhand Party) তৈরি হচ্ছে। শুধু সময়ের অপেক্ষা। আর একটি পোস্টে জয় লেখেন, দুদিন আগে ঝাড়খণ্ড ও ঝুড়ি চিহ্নের নেতা-নেত্রী এখন ঝাড়গ্রাম জেলার তৃণমূল পার্টির মাথা। এরা জাতের নামে বজ্জাতি করে তৃণমূল পার্টিকে শেষ করতে চাইছে।
আরও পড়ুন: Panchayet Vote: ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত পঞ্চায়েত ভোটের বিজ্ঞপ্তি নয়, নির্দেশ হাইকোর্টের
জয় বলেন, যারা তৃণমূলের ক্ষতি (Loss) করছে, তাদেরই দলে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। তাঁর ইঙ্গিত মন্ত্রী বীরবাহার দিকেই। যদিও জয় এ ব্যাপারে বিস্তারিত ব্যাখ্যায় যাননি। তৃণমূল যুবনেতা বলেন, আমি কী বলতে চেয়েছি, তা ভবিষ্যতে প্রমাণ হবে। তবে আমরা মমতাদি, অভিষেকদার সঙ্গেই আছি। দল ছাড়ার কোনও প্রশ্নই ওঠে না। যাঁরা তৃণমূলে থেকে তৃণমূলের ক্ষতি করছেন, আগামিদিনে আমাদের লড়াই তাঁদের বিরুদ্ধে।
তৃণমূলের সাংগঠনিক জেলা ঝাড়গ্রামের নেতৃত্বও বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন। সেই উদ্বেগ ধরা পড়েছে তৃণমূলের জেলা সভাপতি দুলাল মুর্মুর (Dulal Murmu) গলায়। তিনি বলেন, মন্ত্রিত্ব নিয়ে ব্যস্ত থাকায় সম্ভবত বীরবাহা নেতাই গ্রামে সব সময় আসতে পারেন না। তাই স্থানীয়দের (Local) কিছু ক্ষোভ, অভিমান থাকতেই পারে। তবে কেন এই ক্ষোভ, তা খতিয়ে দেখা হবে। তাঁদের আমরা বোঝাব। দুলালের দাবি, বয়সের কারণে জয়কে যুব সভাপতির পদ থেকে সরানো হয়েছে। ওকে আমরা সংগঠনে বড় দায়িত্ব দেব।