কলকাতা: ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত পঞ্চায়েত ভোটের বিজ্ঞপ্তি জারি করতে পারবে না রাজ্য নির্বাচন কমিশন। এমনই নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikary) জনস্বার্থ) মামলার (PIL) প্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্ট বৃহস্পতিবার জানিয়ে দিল, আগামী ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত পঞ্চায়েত নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি জারি করতে পারবে না রাজ্য নির্বাচন কমিশন (Eelection Commission)।
নির্বাচন কমিশনের প্রকাশ করা চূড়ান্ত ভোটার তালিকায়, আসন সংরক্ষণে বিস্তর গোলমাল আছে বলে দাবি করে আদালতের দ্বারস্থ হন শুভেন্দু। তাঁর অভিযোগ ছিল, তৃণমূল নেতারা ঘরে বসে আসন সংরক্ষণ ও ভোটার তালিকা তৈরি করেছেন। এ ব্যাপারে তিনি আদালতে যাবেন বলে আগেই জানিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা।
আরও পড়ুন: SC on Suvendu Adhikari: শুভেন্দুর বিরুদ্ধে রাজ্যের এফআইআরের আর্জি খারিজ সুপ্রিম কোর্টে, হাইকোর্টে যাওয়ার পরামর্শ
রাজনৈতিক দলগুলি অবশ্য ইতিমধ্যেই পঞ্চায়েত ভোটের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। একধাপ এগিয়ে কোনও কোনও জেলায় শাসক তৃণমূল দেওয়ালও লিখে ফেলেছে। নতুন বছরের গোড়াতেই পুরোদমে বেজে উঠবে পঞ্চায়েত ভোটের দামামা। ভোটের আগে অবশ্য জেলায় জেলায় শাসকদলের কোন্দল তুঙ্গে উঠেছে। প্রায় রোজই কোথাও না কোথাও তৃণমূলের গোষ্ঠীসংঘর্ষও ঘটছে। একইসঙ্গে উদ্ধার হচ্ছে প্রচুর বোমা, বারুদ, অস্ত্রশস্ত্র। বিরোধীদের অভিযোগ, গোটা রাজ্যই দাঁড়িয়ে রয়েছে বারুদের স্তূপের উপর।
২০২৪ সালে লোকসভা ভোটের আগে পঞ্চায়েত নির্বাচনই রাজ্যে বড় ইভেন্ট। ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত ভোটে শাসকদল তিন স্তর মিলিয়ে প্রায় ৩৪ শতাংশ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে গিয়েছিল। তা নিয়ে বিতর্কও হয়েছিল বিস্তর। পাশাপাশি সেবারের ভোটে গোলমালও হয়েছিল অনেক। বিরোধীদের দাবি, এবার গোলমাল করা বা গায়ের জোরে ভোট করা অত সহজ হবে না। শাসকদলের বিরুদ্ধে ভূরি ভূরি দুর্নীতির অভিযোগ উঠছে বেশ কিছু দিন ধরেই। সম্প্রতি আবাস যোজনার তালিকা নিয়েও ব্যাপক বেনিয়মের ঘটনা সামনে আসছে। রাজ্য সরকার হিসাব দিচ্ছেন না বলে ১০০ দিনের কাজের টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্র। তা নিয়ে রাজ্য সরকার ক্ষুব্ধ। শাসকদল রাজ্যের বিরুদ্ধে কেন্দ্রের বঞ্চনার অভিযোগ তুলেছে। এরই পাশাপাশি প্রাথমিক এবং স্কুল সার্ভিস কমিশনের শিক্ষক নিয়োগ ঘিরেও দুর্নীতির অভিযোগে জেরবার শাসকদল। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় সহ একাধিক শিক্ষাকর্তা দুর্নীতির অভিযোগে জেল খাটছেন। বিরোধীদের দাবি, পঞ্চায়েত ভোটে এসবের প্রভাব পড়বে।