কলকাতা ও আসানসোল: আসানসোলে কম্বল বিলির (Asansol stampede) অনুষ্ঠানে তিন মৃত্যুর ঘটনায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) বিরুদ্ধে রাজ্যের এফআইআর (FIR) করার আর্জি খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। বৃহস্পতিবার রাজ্য সরকারের আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি (Abhisekh Manu Singhvi) শুভেন্দুর বিরুদ্ধে এফআইআর (FIR) করার আবেদন জানান। শীর্ষ আদালত তা খারিজ করে দিয়ে রাজ্য সরকারকে কলকাতা হাইকোর্টেই (Calcutta High Court) আবেদন করতে বলে। তারপরই রাজ্য সরকার সেই আবেদন প্রত্যাহার করে নেয়।
কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) একক বেঞ্চ (single bench) আগেই শুভেন্দুকে রক্ষাকবচ দিয়েছে। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার (Justice Rajshekhar Mantha) নির্দেশ, শুভেন্দুর বিরুদ্ধে কোনও এফআইআর(FIR) করা যাবে না। তা নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশও করেন তৃণমূল নেতা (TMC leader) কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। একই সঙ্গে সেই রক্ষাকবচের নির্দেশও রাজ্য সরকার শীর্ষ আদালতে চ্যালেঞ্জ করে।
আরও পড়ুন: দান খয়রাতি মানবতার অপমান, কম্বল বিতরণ নিয়ে দিলীপের তোপের মুখে শুভেন্দু
এদিকে আসানসোলের রামকৃষ্ণডাঙালে এদিনও উত্তেজনা ছিল। যে মাঠে কম্বল বিলি হয়েছিল বুধবার, সেখানে প্রচুর চটি, জুতো পড়ে থাকতে দেখা যায়। মৃত তিনজনের দেহ আসানসোল জেলা হাসপাতালে (asansol district hospital) রাখা ছিল। সেখানেই ময়না তদন্ত সম্পন্ন হয়। হাসপাতালের মর্গের সামনে আসানসোলেরল মেয়র (asansol mayor) এবং তৃণমূল কাউন্সিলররা (TMC councillors)জড়ো হন। জমায়েত করেন বিজেপি সমর্থকরা (bjp supporters) এবং দলের বেশ কয়েকজন রাজ্য নেতা। তাঁদের দেখে তৃণমূল কর্মী(TMC workers) সমর্থকরা বিজেপি হায় হায় বলে স্লোগান(sloganeering against BJP) দিতে থাকেন। পাল্টা স্লোগান তোলেন বিজেপি সমর্থকরাও (BJP supporters)। তা নিয়ে সাময়িক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পুলিশ পরিস্থিতি সামাল দেয়।
আরও পড়ুন: কম্বল বিতরণের মৃত্যুর ঘটনায় তিন সদস্যের কমিটি
সকাল থেকেই অবশ্য হাসপাতাল চত্বরে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন ছিল। ময়না তদন্তের পর দেহগুলি পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পুলিশ অফিসার এবং তৃণমূল নেতারা নিহতদের বাড়িতে যান। আসানসোলের মেয়র বিধান উপাধ্যায় (Asansol Mayor Bidhan Upadhyay) বলেন, কম্বল বিলির উদ্যোক্তাদের ঘটনার পর আর এলাকায় দেখা যায়নি। তাঁর অভিযোগ, বিরোধী দলনেতা ঘটনার পর লিট্টি আর চোখা খেতে ব্যস্ত ছিলেন। তিনি বলেন, তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা হতাহতদের পরিবারের পাশে আছেন। যদিও শুভেন্দুর দাবি, দুর্ঘটনার অনেক আগেই তিনি ঘটনাস্থল ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন।