নয়াদিল্লি: রাজ্য পুলিশেই আস্থা সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court)। সিবিআই তদন্তের (CBI Investigation) নির্দেশ খারিজ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের (Nisith Pramanik) কনভয়ে হামলা হয়েছিল গত ২৫ ফেব্রুয়ারি। সেই ঘটনায় সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ খারিজ করে দিলেন। ফলে মামলা ফিরল কলকাতা হাইকোর্টে। এর আগে কলকাতা হাইকোর্ট কনভয়ে হামলার ব্যাপারে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টে যায়। তৃণমূলের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ তুলে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikary)। সিবিআই তদন্তের আর্জি জানিয়েছিলেন তিনি।
বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ে্র বেঞ্চে সেই মামলার শুনানি ছিল। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কনভয়ে হামলা ও মারধরের ঘটনায় কতগুলি এইআইআর দায়ের করা হয়েছে সেই তথ্য এদিন আদালতে তুলে ধরা হয়। শীর্ষ আদালত নির্দেশ দিয়েছে, রাজ্য পুলিশ এই ঘটনায় তদন্ত করবে। তবে পরবর্তীতে সিবিআই তদন্তের দরকার কি না তা ঠিক করবে কলকাতা হাইকোর্ট। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল রাজ্য। শীর্ষ আদালতে রাজ্যের পক্ষে সওয়াল করেন আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি। এদিকে শীর্ষ আদালত আরও নির্দেশ দিয়েছে পুনরায় রায় বিবেচনা করতে হবে কলকাতা হাইকোর্টকে।
ঘটনায় দুপক্ষের তরফে মোট ৩০টি অভিযোগ দায়ের হয়। মামলায় ঘটনার পিছনে কোনও গভীর ষড়যন্ত্র রয়েছে কি না খতিয়ে দেখতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। ঘটনায় তৃণমূলের বক্তব্য ছিল, বিজেপি সমর্থকরা প্ররোচনা দিয়েছিল। পাল্টা বক্তব্য ছিল বিজেপি সমর্থকদেরই। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি কোচবিহারের দিনহাটায় নিশীথের কনভয়ে হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে। বিজেপির অভিযোগ ছিল, বোমা, গুলি, পাথর ছুড়ে হামলা চালানো হয়। ঘোষিত কর্মসূচিতে ওই দিন দিনহাটায় গিয়েছিলেন নিশীথ। বুড়িরহাট এলাকায় তাঁর কনভয় গেলে সেখানে তৃণমূল কর্মীরা তাঁকে কালো পতাকা দেখান। যাতে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
আরও পড়ুন: HRC | Nandini | অফিস পাড়ার পাইস হোটেলের নন্দিনী ভূষিত হিউম্যানিটারিয়ান অ্যাওয়ার্ডে
ঘটনায় বিজেপি রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। ঘটনা নিয়ে সরব হয়েছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসও। হামলার ঘটনাকে শোচনীয় আখ্যা দিয়ে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন রাজ্যপালও। উল্লেখ্য, এই ঘটনা নিয়ে সরব হয়েছিল রাজ্য রাজনীতি। রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস ও বিরোধী দল বিজেপির অভিযোগ পাল্টা অভিযোগে উত্তপ্ত হয় রাজনৈতিক পরিস্থিতি।