মঙ্গলবার বিজেপির নবান্ন অভিযান (BJP Nabanna Rally )শুরু হওয়ার আগেই কলকাতার পিটিএসের কাছে পুলিশ আটকে দেয় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। তাঁর সঙ্গে ছিলেন সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় এবং রাহুল সিনহা। শুভেন্দুর সঙ্গে পুলিশ কর্তাদের বাদানুবাদ হয়। শুভেন্দুকে সাঁতরাগাছিতে যেতে দেওয়া হয়নি। সাঁতরাগাছির মিছিলের নেতৃত্ব দেওয়ার কথা ছিল শুভেন্দুর। তিনি পুলিশ অফিসারদের বলেন, আমাদের গ্রেফতার করুন। আমরা এখানে বসে পড়ছি। তার পর নিজেই তিনি প্রিজন ভ্যানে উঠে পড়েন। তাঁকে, লকেট এবং রাহুলকে লালবাজারে নিয়ে যাওয়া হয়।
পরে লালবাজার থেকে সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের প্রোফাইল থেকে শুভেন্দু ফেসবুক লাইভ করেন। সেখানে তিনি অভিযোগ করেন, পিটিএসে এবং লালবাজারে আইপিএস অফিসাররা তাঁর দিকে মহিলা পুলিশকে এগিয়ে দেন। তাঁরা ধাক্কাধাক্কিও করেন। এতে শুভেন্দু অপমানিত হয়েছেন বলে ফেসবুকে দাবি করেন। দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে ফেসবুক লাইভে তাঁর বার্তা, পুলিশ আজ চরম অত্যাচার করেছে। লালবাজারে আইপিএস অফিসার জ্ঞাববন্ত সিং আমার দিকে মহিলা পুলিশ কর্মীদের এগিয়ে দেন। আমার উপর তাঁর রাগ রয়েছে গরু এবং কয়লা পাচার মামলায় ইডি তাঁকে ডেকেছে বলে। শুভেন্দু বলেন, আমাদের কর্মীদের মারধর করেছে পুলিশ। মহিলা পুলিশকে তিনি গুন্ডি বলে কটাক্ষ করেন। তাঁর অভিযোগ, পুলিশ অফিসাররা আমার উপর গুন্ডি লেলিয়ে দিয়েছে। আমি আদালতে মামলা করব।
আরও পড়ুন BJP Nabanna Rally: বিজেপির অভিযান ঘিরে রণক্ষেত্র হাওড়া-কলকাতা, দফায় দফায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ, আগুন
শুভেন্দুর আরও অভিযোগ, পিটিএসেও তাঁর দিকে মহিলা পুলিশ এগিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ অবশ্য শুভেন্দুকে আলুভাতে নেতা বলে কটাক্ষ করেন। বিরোধী দলনেতা হাঁটতে হাঁটতে প্রিজন ভ্যানে চলে গেলেন। মহিলা পুলিশকে তিনি বলছেন, ডোন্ট টাচ মাই বডি। এর মানে কী। বিরোধী নেত্রী থাকাকালীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চুলের মুঠি ধরে মহাকরণ থেকে বের করে দিয়েছিল। আর বর্তমান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুর পুলিশের সামনে দাঁড়িয়ে থাকার পর্যন্ত সাহস নেই। ইনি বিরোধী নেতা?