হাওড়া: শ্যামপুরে (Shyampur) মেয়ের সম্ভ্রম বাঁচাতে গিয়ে খুন হন বাবা। ওই ঘটনায় ইতিমধ্যে তিনজনকে গ্রেফতার করে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করার সিদ্ধান্ত নেয় পুলিশ। সেই ঘটনায় আজ, বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটা নাগাদ অভিযুক্ত তিনজনকে নিয়ে ঘটনাস্থলে যায় শ্যামপুর থানার তদন্তকারী আফিসারেরা (Investigating Officer)। কড়া নিরাপত্তার মধ্যে গ্রামে ওই ঘটনার পুনঃনির্মাণ করানো হয়।
পুলিশ (POlice) সূত্রে দাবি, সেই ঘটনায় রবিবার রাতে দশম শ্রেণীর ওই স্কুল ছাত্রীকে কিভাবে যৌন হেনস্থা করা হয়েছিল তারা বর্ণনা দিয়েছে অভিযুক্তরা। তাতে বাধা দিলে ছাত্রীটির বাবাকে টেনে মাঠের মধ্যে নিয়ে গিয়ে কিভাবে মারধর করা হয় তাও পুনঃনির্মাণ করে দেখায় ওই তিনজন অভিযুক্ত (Accused)। অভিযুক্তরা পুলিশি জবানবন্দিতে তাদের অপরাধ কবুল করেছে বলে পুলিশ সূত্রের দাবি। উল্লেখ্য, শ্যামপুর থানার পুলিশ আগেই তিন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে খুন এবং পকসো সহ বিভিন্ন জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা শুরু করে। উলুবেরিয়া আদালতের (Uluberia Court) নির্দেশে তারা এখন পুলিশি হেফাজতে রয়েছে।
আরও পড়ুন: Amartya Sen: বিজেপি নেতাদের মদতে এমন করছেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য, বিস্ফোরক অমর্ত্য সেন
ওই ঘটনার পর মৃতদেহ আটকে বিক্ষোভ (Agitation) দেখিয়েছিলেন গ্রামবাসীরা। তাঁরা দোষীদের শাস্তির দাবি জানাচ্ছিলেন। এরপর একে একে তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ওই ঘটনায় শোরগোল পড়ে যায়। মেয়েকে প্রতিদিন টিউশন (Tution) থেকে আনতে যেতেন বাবা। কিন্তু, সেদিন তাঁর যেতে দেরি হয়। তখন ওই ছাত্রী নিজেই বাড়ির দিকে রওনা দেয়। সেসময় রাস্তার ধারে মদ খাচ্ছিল কয়েকজন। তারা যৌন হেনস্থা করে বলে অভিযোগ। মেয়েটির বাবা প্রতিবাদ করলে তারা মেয়েটির বাবার উপর চড়াও হয়। সেসময়ই মেয়েটি ছুটে বাড়ি গিয়ে পরিবারের লোকেদের খবর দেয়। তাঁরা এসে গুরুতর আহত অবস্থায় মেয়েটির বাবাকে উদ্ধার করে। পরে তাঁর মৃত্যু হয়। প্রতিবাদীর ওই মৃত্যুতে রাজ্য রাজনীতিতেও আলোড়ন পড়ে।