বহরমপুর: রাজ্যে দুর্নীতি (Corruption) গভীরে ঢুকে গিয়েছে । শুধুই নিয়োগ দুর্নীতি (Teacher Recruitment Scam) নয়। তার পরিধি আরও বিস্তৃত। গরু পাচার (Cattle Scam) বা শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি শুধু নয়, একশো দিনের কাজের (MGNREGA) টাকা ,মিড ডে মিলের (Mid Day Meal) টাকা, স্কুলের পোশাকের টাকা সহ বিভিন্ন খাতের টাকা নিয়ে দুর্নীতি হচ্ছে। এমনই অভিযোগ তুললেন সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম (Md Selim)। সোমবার বহরমপুর সিপিআইএম (CPM) কার্যালয়ে এক বৈঠক করেন তিনি। সেখানে বৈঠক শেষে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হন মহম্মদ সেলিম। সিবিআই গ্রেফতার করেছে বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাকে (Jibankrishna Saha)। সেই বিষয়ে তিনি বলেন, বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা কাজের জন্য এত প্রচার কোনওদিন পাননি। তৃণমূলের সর্বগ্রাসী মনোভাবের জন্য আইনকে ঠেকানোর চেষ্টা করছে তৃণমূল।
এদিন সেলিম দুর্নীতি কাণ্ডে আঙুল তুলেছে বিজেপির (BJP) দিকেও। তাঁর বক্তব্য, বিভিন্ন দুর্নীতির সঙ্গে শুধুমাত্র যে তৃণমূলের জেলা পরিষদ সদস্য বা এমএলএ, এমপি রয়েছে তাই নয়, তাদের সঙ্গে যোগ রয়েছে বিজেপিরও। কেননা গরু পাচার থেকে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে যে টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে তার সঙ্গে তৃণমূলের ও বিজেপির যোগ রয়েছে বলে দাবি করেন মহম্মদ সেলিম।
উল্লেখ্য রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি (ED) ও সিবিআই (CBI)। সেই ঘটনায় রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় গ্রেফতার হয়েছেন। গ্রেফতার হয়েছে তৃণমূলের একাধিক বিধায়ক। শিক্ষা দফতরের একাধিক পদস্থ কর্তা জেলে রয়েছেন। তা নিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে সরব হয়েছে বামেরা। পাল্টা তৃণমূল অভিযোগ তুলেছিল বাম আমলে চিরকুটে চাকরি হয়েছে। পার্টির লোকেদের চাকরি হয়েছে। তৃণণূলের একাধিক বিধায়ক বলেন বাম আমলে কাদের চাকরি হয়েছে তার তালিকা তাদের কাছে আছে।
আরও পড়ুন: Kisi Ka Bhai Kisi Ki Jaan | Salman Khan | Farhad Samji | আত্মবিশ্বাসী ফরহাদ
সম্প্রতি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জেলে থাকা প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chattopadhyay) বিধানসভা কেন্দ্র (Assembly Constituency) বেহালা পশ্চিমে জনসংযোগ কর্মসূচিতে অংশ নেয় সিপিএমের (CPM) রাজ্য সম্পাদক (State Secretary) মহম্মদ সেলিম (Md Selim)। সেখানকার মানুষের সুখ-দুঃখ, অসুবিধার কথা শুনতে জনসংযোগ কর্মসূচি নেয় সিপিএম। ভোটের আগে য়েভাবে প্রার্থীরা বাড়ির সামনে গিয়ে কথা বলেন। খানিকটা সেরকমভাবেই মানুষের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায় মহম্মদ সেলিমকে। ইদানীং সিপিএমের সভা, মিছিলে ভিড় বেড়েছে। সেই ঘটনায় উজ্জীবিত বাম শিবির। বিশেষ করে বেকারত্ব, জ্বালানীর মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে আন্দোলনে ঝাঁজ বাড়িয়েছে সিপিএম। এবার মানুষের কাছে পৌঁছতে জনসংযোগ কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।