আমেরিকা–১ ওয়েলশ–১
(টিমোথি উইয়া) (গ্যারেথ বেল–পেনাল্টি)
বাপ কা বেটা, সিপাই কা ঘোড়া। এই ম্যাচটা দেখতে দেখতে সেটাই মনে হচ্ছিল। বাবা জর্জ উইয়া বিশ্ববিখ্যাত স্ট্রাইকার। লাইবেরিয়ার প্লেয়ার উইয়া জীবনে কখনও বিশ্ব কাপ খেলেননি। তবে এ সি মিলানের হয়ে ম্যাচের পর ম্যাচে গোল করে ফুল ফুটিয়েছেন। তাই তাঁকে সম্মানিত করা হয়েছে ব্যালন দ্য ওর পুরস্কারে। সেই উইয়ার ছেলে টিমোথি। তিন দেশের নাগরিক। জন্ম সূত্রে লাইবেরিয়ার। যেহেতু আমেরিকাকেই তার ফুটবলের কর্মজীবন হিসেবে বেছে নিয়েছেন তাই আমেরিকার। আর ফরাসি লিগ ওয়ানে খেলেন লিলের হয়ে। তাই ফ্রান্সেরও নাগরিক। সেই টিমোথি উইয়ার গোলে প্রায় জিতেই যাচ্ছিল আমেরিকা। কিন্তু ৮২ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোলটা শোধ করে দিলেন ওয়েলশের ক্যাপ্টেন গ্যারেথ বেল, বর্তমানে যিনি খেলেন আমেরিকার মেজর লিগ সকারে লস অ্যাঞ্জেলস এফ সি-র হয়ে। সব মিলিয়ে এই ম্যাচটা ড্র হয়ে যাওয়ায় লাভ হল ইংল্যান্ডের। বি গ্রুপ থেকে ইংল্যান্ড তো নক আউটে যাবেই। এখন দেখার দ্বিতীয় টিম হিসেবে কে যায়? মনে হচ্ছে এই দুটো টিমের মধ্যেই একটা টিম যাবে।
ওয়েলশ ৫৪ বছর পর বিশ্ব কাপে খেলছে। তারা এক বারই খেলেছিল সেই ১৯৫৮ সালে। তখন গ্যারেথ বেলদের জন্ম হয়নি। সে দিক থেকে দেখলে আমেরিকার বিশ্ব কাপ ইতিহাস সমৃদ্ধ। শুধু ১৯৯৪ সালের বিশ্ব কাপ সে দেশে সংগঠন করেই নয় , আমেরিকা একাধিকবার প্রথম রাউন্ডের গণ্ডি পেরিয়েছে। তাদের অধিনায়ক ক্রিশ্চিয়ান পালিসিচের বয়স মাত্র ২৪। খেলেন চেলসিতে। কিন্তু স্বদেশে এত সুনাম তাঁর যে তাঁকে সবাই ডাকে ক্যাপ্টেন আমেরিকা বলে। তবে এদিন কিন্তু খুব একটা সুবিধে করতে না পারলেও গোলের পাসটা কিন্তু তাঁর পা থেকেই বেরিয়েছে।। গ্যারেথ বেল তুলনায় ভাল। ওয়েলশ পেনাল্টি পেয়েছে তাঁর জন্যই। বক্সের মধ্যে তাঁর পা থেকে বল ছিনিয়ে নিতে গিয়ে রিয়াম ফাউল করে ফেললেন। বেল নিজেই পেনাল্টি শট নিলেন। আমেরিকার গোলকিপার ঠিক দিকেই ঝাঁপিয়েছিলেন। কিন্তু শটে এত জোর ছিল যে হাত লাগিয়েও আটকাতে পারেননি। ম্যাচের বয়স তখন ৮২ মিনিট।
আমেরিকা গোলটা পায় ৩৬ মিনিটে। ওয়েলশের অর্দ্ধে সার্জেন্ট এবং পালিসিচ নিজেদের মধ্যে পাস খেলতে খেলতে হঠাৎই পালিসিচ লম্বা পাস বাড়ালেন টিমোথিকে লক্ষ্য করে। জর্জ উইয়ার ছেলে সেই বলটাকে ফলো করে লম্বা লম্বা স্ট্রাইড নিয়ে পৌছলেন বলের কাছে। তার পর ডান পায়ের একটা চমৎকার শটে গোল করলেন। দু্র্ভাগ্য তাঁর। সেই গোলটা রাখতে পারল না তাঁর দল। তবে রাইট উইঙ্গার উইয়া আবার গোল করার সুযোগ পাবেন। এখনও তো গ্রুপ লিগে দুটো ম্যাচ বাকি আছে।