জলপাইগুড়ি: নদীগর্ভে চলে গিয়েছে ২০০ বিঘার উপর চাষের জমি (Agricultural Land)। একাধিকবার প্রশাসনের (Administration) বিভিন্ন দরজায় কড়া নেড়েও লাভ কিছুই হয়নি। আর এই কারনেই প্রশাসনের ওপর ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন বয়কটের ডাক। ধূপগুড়ি (Dhupguri) ব্লকের গাদং এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত কাজীপাড়া এলাকার একাংশের বাসিন্দারা এই বয়কটের ডাক দিয়েছেন। কাজীপাড়া (Kajipara) এলাকার এক পাশ দিয়ে বয়ে গেছে ডুডুয়া নদী (Duduya River)। এই নদীর পাশ দিয়ে রয়েছে চাষের জমি। প্রতিবছর একটু একটু করে সেই সমস্ত চাষের জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। ধূপগুড়ি ব্লকের বেশিরভাগ এলাকার মানুষ মূলত কৃষিকাজের সঙ্গে যুক্ত। কাজেই চাষের জমি এইভাবে নদীর গ্রাসে চলে যাওয়ায় অসহায় হয়ে পড়েছেন গ্রামবাসীরা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ২০১৮ সাল থেকে এই নিয়ে প্রশাসনের বিভিন্ন দফতরে তাঁরা অভিযোগ জানিয়েছেন। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। তাঁদের আরও অভিযোগ, নদীর উল্টো দিকে অপরিকল্পিতভাবে একটি বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে যার জেরে নদী গতিপথ পরিবর্তন করে ক্রমশ চাষের জমির দিকে এগিয়ে আসছে। পরিস্থিতি এতটাই ভয়ানক আগামী বর্ষার পর নদীর এপারে আর কোনও চাষের জমি অবশিষ্ট থাকবে কিনা সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। স্থানীয় গ্রামবাসীদের আরও অভিযোগ, যখনই কোনও নির্বাচন আসে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-মন্ত্রীরা শুধুমাত্র আশ্বাস দেন বাঁধ নির্মাণ করার। এমনকি এলাকা পরিদর্শন পর্যন্ত করেন। তবে ভোট মিটে গেলে সেই একই অবস্থা। আর এই কারণেই এবারের পঞ্চায়েত ভোট বয়কটের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অনেক কৃষকের আর কোনও চাষের জমি অবশিষ্ট নেই। সম্পূর্ণটাই চলে গেছে ডুডুয়া নদীর গর্ভে। কার্যত তাদের পথে বসার মতো অবস্থা হয়েছে।
আরও পড়ুন: Cyclone Biparjoy | ক্রমশ তীব্র হয়ে বিপর্যয়ের আশঙ্কা সাইক্লোনের, তিন রাজ্যে সতর্কতা জারি
স্থানীয় গ্রামবাসীদের এই শোচনীয় অবস্থার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান নির্মল চন্দ্র রায় (Nirmal Chandra Roy)। তিনি জানিয়েছেন, ওই দিকের অবস্থা সত্যিই ভয়াবহ। তিনি তাঁর সাধ্যমতো চেষ্টা করেছেন। যেহেতু গ্রাম পঞ্চায়েতের পক্ষে এত বড় বাঁধ নির্মাণ করা সম্ভব নয় সেই কারণে তিনি উপর মহলে বিষয়টি জানিয়েছেন। গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান আশাবাদী খুব দ্রুত এই নদীর বাঁধ নির্মাণ করা হবে।তবে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে কবে নির্মাণ করা হবে এই নদী বাঁধ। ততদিন পর্যন্ত যেটুকু চাষের জমি পড়ে রয়েছে সেটা থাকবে নাকি ডুডুয়া নদীর জলে স্রোতের সাথে ভেসে যাবে।