কলকাতা: প্রথম গ্রীষ্মের (Summer) দাপট থেকে হঠাৎ গভীর রাতে রেহাই পেল শহরবাসী (Kolkata)। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ আচমকাই ঝড়ো হাওয়ার দাপট। কিছুক্ষণের মধ্যেই এক-দু ফোঁটা করে বৃষ্টি নামে। কলকাতা সংলগ্ন জেলাগুলিতে ঝোড়ো হওয়ার সঙ্গে চলে বৃষ্টিপাত (Rainfall Forecast)। শহরের একাধিক জায়গায় ঝাঁপিয়ে বৃষ্টি নামে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস (Weather Forecast) অনুযায়ী পুরুলিয়া, বর্ধমান সহ দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলায় ঝোড়ো হাওড়ার সঙ্গে বৃষ্টিপাত হয়।
শুক্রবার কলকাতায় দিনভর মেঘলা আকাশ। বজ্রবিদ্যুৎ সহ দু-এক পশলা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টির জন্য এক ধাক্কায় কলকাতার রাতের তাপমাত্রা ৫ ডিগ্রি নেমে গিয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। এদিন সকালে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২০.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বৃহস্পতিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩১.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ৪৭ থেকে ৮৭ শতাংশ।
আরও পড়ুন: Rahul Gandhi: লোকসভা থেকে রাহুল গান্ধীকে বহিষ্কার করুক স্পেশ্যাল কমিটি, দাবি বিজেপি সাংসদের
হাওয়া অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, বজ্রবিদ্যুত সহ মরশুমের প্রথম জোড়া কালবৈশাখীর আশঙ্কা রয়েছে কলকাতায়। শুক্রবারেও কালবৈশাখীর মতো পরিস্থিতি হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। উত্তরবঙ্গেও এদিন ঝড়-বৃষ্টির সঙ্গে শিলাবৃষ্টি আশঙ্কা থাকছে। উত্তরবঙ্গের বেশ কিছু জেলায় বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টি ও হালকা ঝোড়ো হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মালদহ, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে আগামী ২৪ ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার গতিবেগে দমকা ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। একইসঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি কোথাও কোথাও শিলাবৃষ্টি এবং বজ্রপাতের আশঙ্কা থাকছে। দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার ও জলপাইগুড়ি জেলাতেও বজ্রবিদ্যুৎ সহ ঝোড়ো হাওয়ার সম্ভাবনা।
এদিকে দক্ষিণবঙ্গে এদিন ওকাল বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি সঙ্গে দমকা ঝোড়ো হাওয়া ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত ঝোড়ো হাওয়ার গতিবেগ থাকতে পারে। দক্ষিণবঙ্গের বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান জেলাগুলিতে শিলাবৃষ্টি এমনকি বজ্রপাতের আশঙ্কাও থাকছে বলে হাওয়া অফিস সূত্রে খবর। দু-এক জায়গায় কালবৈশাখীর মতো পরিস্থিতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সোমবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গে ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। রবি ও সোমবারে দমকা হওয়ার গতিবেগ ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার থাকবে সঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টি।
হাওয়া অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, একটি পশ্চিমী ঝঞ্ঝা রয়েছে। নতুন করে এই পশ্চিমী ঝঞ্ঝা রাজ্যএ ঢুকবে রবিবার ১৯ মার্চ। পশ্চিমী ঝঞ্ঝার সঙ্গে একটি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে রাজস্থান এলাকায়। একটি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে বাংলাদেশে। সেই ঘূর্ণাবর্ত থেকে অন্ধ্রপ্রদেশ পর্যন্ত একটি অক্ষরেখা রয়েছে, যা গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশার উপর দিয়ে গিয়েছে। আরও একটি অক্ষরেখা রয়েছে দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ু থেকে কঙ্কন পর্যন্ত যেটি কর্নাটক ও গোয়ার উপর দিয়ে গিয়েছে।