কলকাতা: ক্যানসার নিয়ে নয়া উদ্যোগ রাজ্যের (West Bengal)। এখন থেকে আগে ভাগেই চিহ্নিত করা যাবে মারন রোগ ক্যানসারকে (Cancer)। তৈরি করা হচ্ছে নতুন একটি পোর্টাল (Portal)। নাম ‘ক্যানসার হাব’ (Cancer Portal)।
একটি সমীক্ষা অনুযায়ী শুধু মাত্র অবহেলার কারণে ১৬ শতাংশ মহিলা আক্রান্ত হন সারভাইক্যাল ক্যানসারে (Cervical Cancer) । কারণ মহিলারা শারীরিক সমস্যার গুলি দাক্তারের সঙ্গে আলোচনা করতে চান না। এতাই তাঁদের মারাত্মক ভুল। কিন্তু যখন চিকিৎসার জন্য তাঁরা চিকিৎসকের কাছে আসেন, তখন পরীক্ষা করে দেখা যায় স্টেজ ফোর। সেই সময় আর কিছু করার থাকেনা । তাই ডাক্তারেরা বলতে বাধ্য হন, আর কিছু করার নেই! যে কটা দিন হাতে আছে শান্তিতে কাটান। সেই সময় অবশ্য যন্ত্রণা নিবারক ওষুধ বা প্যালিটিভ ট্রিটমেন্ট শুরু করতে হয়। ওই সমস্ত মহিলাদের। এদিকে শিশুরা রক্তের ক্যানসারে (Blood Cancer) আক্রন্ত হচ্ছে মারাত্মক ভাবে। আবার ৪০-ঊর্ধ্ব মহিলাদের মধ্যে স্তন ক্যানসার ইউরোপের হারেই বাড়ছে। তাই স্বাস্থ্যভবন দফতরের প্রধান সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগমের সঙ্গে হাসপাতালগুলির বৈঠকে এই সিদ্ধান্তই হয়েছে। ওয়াকিবহল মহলের মতে রাজ্যের এই নয়া উদ্যোগ কার্যত তাৎপর্যপূর্ণ।
আরও পড়ুনTripura Assembly Election 2023: ত্রিপুরায় অসম, গুজরাতের পুলিশ কেন, সিপিএমের চিঠি কমিশনে
রাজ্যের ২৭টি স্বাস্থ্যজেলার জেলা ও ব্লক হাসপাতালগুলির সঙ্গে কলকাতার পাঁচটি মেডিক্যাল কলেজ যুক্ত হয়ে তৈরি হবে ওই বিশেষ পোর্টাল। ‘ক্যানসার হাব’র মূল উদ্দেশ্য শুরুতেই চিহ্নিতকরণ। সেই পরীক্ষায় যদি কোনও লক্ষণ ধরা পড়ে তাহলে, তাঁকে হাসপাতালে পাঠানো এবং বিশেষজ্ঞদের জানানো হবে। চিকিৎসকদের মতে রাজ্যে ক্যানসারের ওষুধ অঢেল। কিন্তু দরকার চিহ্নিতকরণ। যে সমস্ত জেলা গুলিতে ক্যানসার চিহ্নিত হবে তাঁদের নাম-সহ সমস্ত তথ্য পোর্টালে উঠে যাবে। এবং কলকাতা থেকে তাঁদের সাথে যোগাযোগ করা হবে।
উল্লেখ্য, এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অঙ্কোলজি (oncology) বা রেডিওলজি বিভাগ থেকে বলা হয়েছিল, বিভিন্ন ধরনের ক্যানসারের উপসর্গও বিভিন্ন। তবে কাশি, মলের সঙ্গে রক্ত অথবা প্রস্রাবের গতি রোধ করতে না পারার মতো বিষয় গুলিকেও ক্যানসারের লক্ষণ হিসেবে ধরা হয়। তাই শুরুতেই যদি রোগনির্ণয় করা যায় সে ক্ষেত্রে ক্যানসারে প্রাণ হানি রুখতে অনেকটা সক্ষম হবে রাজ্য।