ইস্তানবুল: তুরস্ক(Turkey) ও সিরিয়ার(Syria) ভয়াবহ ভূমিকম্পে বহু দেশ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। ভারতের তরফেও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী পাঠানো হয়েছে। সেখানেই উদ্ধারকার্যে গিয়েছে রোমিও ও জুলি (Romeo and Julie)। তারা কারা জানলে চমকে যাবেন। তারা আর কেউ নন ল্যাব্রাডর প্রজাতির দুই স্নিফার কুকুর (Sniffer Dog)। ধ্বংসস্তুপের থেকে গন্ধ শুঁকে ৬ বছর বয়সী এক শিশুর জীবন। ধ্বংসস্তুপের নীচে পড়েছিল ৬ বছরের ওই শিশু কন্য। সেই নির্দিষ্ট স্থানে গিয়ে তা শনাক্ত করে খুঁজে বের করে রোমিও-জুলি। তারা খুঁজে না বের করলে হয়তো ওই ছোট্ট শিশুকে আর ফিরে পাওয়া যেত না।
রোমিও-জুলির কমাান্ডর জানান, তল্লাশিতে প্রথমে ধ্বংসস্তূপের নীচে ওই শিশু কন্যার গন্ধ পান জুলি। তারপর তা নিশ্চিত করতে আনা হয় রোমিওকে। রোমিও তা নিশ্চিত করতে শুরু হয় উদ্ধারকাজ। সেখান থেকেই ছবছরের শিশু কন্যাকে উদ্ধার করা হয়। ওই শিশুকে উদ্ধার করে ভারতীয় সেনার অস্থায়ী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তার চিকিৎসা চলছে। তার মাকে উদ্ধার করা হলেও এখনও নিখোঁজ তার বাবা এবং দুই ভাই।
এই দুই স্নিফার কুকুর গন্ধ শুঁকে পৌঁছে যেতে পারে নির্দিষ্ট স্থানে। ধ্বংসস্তূপের কোথায় মৃতদেহ চাপা পড়ে রয়েছে তা দ্রুত শনাক্ত করতে পারে। মেক্সিকোতে যখন ভয়াবহ ভূমিকম্প হয়েছিল তখনও উদ্ধারকাজে বিশেষ ভূমিকা নিয়েছিল এই তারা। মঙ্গলবার ভারতের জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সঙ্গে তুরস্কের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় ওই দুই স্নিফার ডগ। তুরস্কের মাটিতে ভারতীয় সেনাবাহিনী তৈরি করেছে একটি ফিল্ড হাসপাতাল, যেখানে ৩০ জন ব্যক্তিকে একত্রে হাসপাতালে সমস্ত সুযোগ সুবিধা প্রদান করা যাবে। পাশাপাশি বিমানে করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে চিকিৎসা সামগ্রী এবং জীবন রক্ষাকারী নানান ওষুধ।
আরও পড়ুন:New Town Fire: ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড নিউ টাউনে, ভস্মীভূত ১৫ টি দোকান
কয়েকদিন ধরেই বিভিন্ন খবরের শিরোনামে আসছিল রোমিও আর জুলির কথা। ভারতীয় সেনাবাহিনীর ডগ স্কোয়াড অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর আগেও বহুবার প্রশিক্ষিত কুকুরদের শহীদ হতে দেখা গিয়েছে। তাদের পূর্ণ সম্মানে শেষকৃত্য করেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। ভারতীয় সেনাবাহিনীর জটিল কাজকে সহজ করে দিতে পারে এই ডগ স্কোয়াড। যা ভারতবাসীর কাছে অত্যন্ত গর্বের।
সোমবার তুরস্ক আর সিরিয়া কেঁপে ওটে ভয়াবহ ভূমিকম্পে। তারপর থেকেই মৃত্যুর পাহাড় গুনতে হচ্ছে দুই দেশকে। প্রতিদিনই মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। চারিদিক নিস্তব্ধতা। সময় যত গড়াচ্ছে ততই ধ্বংসস্তূপের নীচে কারও বেঁচে থাকার সম্ভাবনা ক্ষীণ হচ্ছে বলে মনে করছেন উদ্ধারকারী দলের বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে, খাদ্য, জলহীন ভাবে তিনদিন ধরে অক্সিজেন যদিওবা মেলে, কিন্তু এই হিমশীতল আবহাওয়ায় বেঁচে থাকার সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে।