সন্দেশখালি: ২০১৪ সালে জেলা পরিষদের টেন্ডারের ভিত্তিতে ফেরিঘাট চালানোর দায়িত্ব পেয়েছিলেন সন্দেশখালির (Sandeshkhali) বাসিন্দা বীণা রায় অধিকারী (Bina Roy Adhikari)। ফেরিঘাটের ডাক নিয়ে অকশনের মাধ্যমে তাঁর নাম জেলা পরিষদে উঠলেও তিনি ১০ বছর ধরে ঘাট চালাতে পারেননি শাহজাহান বাহিনীর দাপটে, এমনটাই অভিযোগ বীণার। ২০১৪ সালে ১০ লক্ষ টাকা জমা দিয়ে অকশনের মাধ্যমে তিনি ফেরিঘাটের দায়িত্ব পান। বীণা জানান, সরকারি নিয়মে তাঁর প্রাপ্য জুটলেও ঘাট চালাতে যখন তিনি আসেন তখন শেখ শাহজাহান, উত্তম সর্দার, শিবু হাজরারা তাঁকে ঘাট চালাতে দেননি। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী তিনি ঘাট পেয়েছেন বলে দাবি করলেও কোনও কথা শোনেননি তারা।
দশ বছর পর শনিবার সেই ধামাখালিতে সিবিআই ক্যাম্প অফিসে অভিযোগ দায়ের করতে আসেন বীণা। তিনি জানান, দশ বছরের সুদে আসলে প্রায় ২৫ থেকে ৩০ লক্ষ টাকার উপরে হয়ে গেলেও, তাঁর প্রাপ্য দেননি শিবু-উত্তমরা। তাঁর আশা, এবার হয়ত ফেরিঘাটে লাগানো সমস্ত টাকা ফেরত পাবেন।
আরও পড়ুন: উধাও বিজেপির পতাকা, ঝাড়গ্রামে রাজনৈতিক তরজা
উল্লেখ্য, শুক্রবার থেকে ধামাখালি ঘাট সংলগ্ন রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্কের সামনে খোলা হয়েছে সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্প। এদিন সকাল থেকে সেখানে মোতায়েন করা হয়েছে সিআরপিএফ। এদিনও ভূরি ভূরি অভিযোগ পান সিবিআই অফিসাররা। এতদিন সাধারণ লোকজন ই-মেল মারফত অভিযোগ জানাতে গিয়ে নানা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছিলেন। কীভাবে অভিযোগ জানাতে হবে, তা বুঝে উঠতে পারছিলেন না অনেকেই। এবার গ্রামবাসীর হাতে লেখা অভিযোগপত্র জমা নেওয়া হবে এই ক্যাম্পে।
আরও খবর দেখুন