অনিয়মিত জীবনযাপন ও পরিবেশ দূষণের কারণে অনেকেরই অল্প বয়সে চুল সাদা হয়ে যায়। এর প্রভাব পড়ে ব্যক্তিত্বেও। চুল সাদা হলে বয়সের ছাপটা যেন একটু বেশি বোঝা যায়। সাধারণত বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চুল সাদা হয়। কিন্তু অল্প বয়সে কালো চুল সাদা হয়ে যাওয়াটা স্বাভাবিক নয়। অল্প বয়সে চুল পাকার জন্য দায়ী ঘুম কম হওয়া, নিম্নমানের চুলের সামগ্রী ব্যবহার করা, অত্যধিক পরিমাণে চুলে রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার, চুলের নিয়মিত যত্ন না নেওয়া। পাশাপাশি খাবারের খারাপ দিকগুলোও আছে৷ যেমন, বেশি তেল যুক্ত খাবার খাওয়া, ফাস্টফুড খাওয়া। পুষ্টিকর খাবারের অভাবে, বংশগত বা হরমোনের কারণেও চুল পেকে যায় বা সাদা হয়ে যায়।
তবে এই নিয়ে মন খারাপ না-করে সচেতন হলে সমস্যার সমাধান সম্ভব। তবে মনে রাখতে হবে প্রতিষেধকের চেয়ে প্রতিরোধ উত্তম। তাই চুলের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে এই ঘরোয়া পদ্ধতিগুলি কাজে লাগতে পারে।
হরীতকী ও মেহেন্দি পাতার সঙ্গে নারকেল তেল দিয়ে ফুটিয়ে ঠান্ডা করে চুলে লাগিয়ে ২ ঘণ্টা পরে ধুয়ে ফেলতে হবে।
আমলকির রস, বাদামের তেল ও লেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে সপ্তাহে কমপক্ষে দুই থেকে তিন দিন চুলে লাগালে চুল পাকা কমে যায়।
নারকেল তেল গরম করে মাথার তালুতে ভালো করে ম্যাসাজ করুন। এটি চুলে প্রয়োজনীয় পুষ্টি জোগাবে। একইসঙ্গে চুল সাদা হওয়ার হাত থেকে রক্ষা পাবেন।
সবে আপনার চুল সাদা হওয়া শুরু হয়েছে, সেই সময়ে হেনা, ডিমের কুসুম ও টক দই একসঙ্গে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে চুলে লাগালে চুল সাদা হওয়া কমে যাবে। হেনা শুধু চুলকে সাদা হওয়া থেকে রক্ষাই করে না বরং সাদা চুলে কালো রঙে ফিরিয়ে আনতে কার্যকরী।
ত্বকের পাশাপাশি সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি চুলের জন্যেও ক্ষতিকারক। তাই চুলে যাতে সরাসরি রোদ না লাগে সেজন্য ছাতা, ক্যাপ অথবা ওড়না দিয়ে চুল ঢেকে রাখা জরুরি। এর ফলে দূষণের হাত থেকেও রক্ষা পায় চুল।
চুলের ধরন অনুযায়ী নিয়মিত ভালো ব্রান্ডের শ্যাশ্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। চুলের ক্রিম, জেল, কালার, শ্যাম্পু, কন্ডিশনার ব্যবহারের ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করুন।
চুলের নিজস্ব রঙ ধরে রাখতে মাঝে-মাঝে চায়ের ঘন লিকার ব্যবহার করতে পারেন।
চুলে খুশুকি হলে শুরুতেই সাবধান হতে হবে। অতিরিক্ত খুশকির কারণে চুল সাদা হয়ে যায়।
ধূমপান ছেড়ে নিয়মিত জল, ফলমূল, রঙিন শাকসবজি ও পুষ্টিকর খাবার খেলে চুল সাদা হবে না বরং চুল হবে সুন্দর ও ঝরঝরে।
তবে অনেক ক্ষেত্রে বিশেষ কোনও শারীরিক সমস্যার ক্ষেত্রেও চুল সাদা হয়ে যায়। সেক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন।