নয়া দিল্লি: ভারত বায়োটেক নির্মিত কোভ্যাক্সিনকে রাজনৈতিক চাপে সব নিয়ম না মেনে বাজারে আনা হয়েছিল বলে যে খবর সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে তা সঠিক নয় (misleading, fallacious) বলে দাবি করল কেন্দ্রীয় সরকার। বৃহস্পতিবার সংবাদমাধ্যমগুলিকে বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক জানিয়েছে, কোভ্যাক্সিনের ক্ষেত্রে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের জন্য ক্লিনিকাল ট্রায়ালে সব বৈজ্ঞানিক নিয়ম মানা হয়েছে। মিডিয়াতে বলা হয়েছে, অনেকগুলি পদ্ধতি বাদ দিয়ে দ্রুত ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রের দাবি, এটা সঠিক নয়। একইসঙ্গে ভারত বায়োটেকের তরফ থেকেও বিবৃতি দিয়ে ওই খবরকে জাল বলে দাবি করা হয়েছে। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে ভারত বায়োটেক সংস্থার পদস্থ কর্তাদের অভ্যন্তরীণ রিপোর্টের কথা উল্লেখ করে ওই রাজনৈতিক চাপ শবদবন্ধ ব্যবহার করা হয়।
প্রেস ইনফর্মেশন ব্যুরো জানিয়েছে, সরকার ও দেশের ড্রাগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গিতে সব নিয়ম মেনেই কাজ করেছে। ২০২১ সালের ১ ও ২ জুলাই সিডিএসসিওর (cdsvo) সাবজেক্ট এক্সপার্ট কমিটি (sec) এই নিয়ে বৈঠকে বসে। বিশেষজ্ঞ কমিটি নিরাপত্তার সব দিক খতিয়ে দেখে। তারপরই “রেস্ট্রিক্টেড এমার্জেন্সি” অনুমোদনের সুপারিশ করে।
আরও পড়ুন: ED Hemant Soren Bihar: বিহারের বাণিজ্যমন্ত্রীর বাড়িতে হানা ইডির
২০২১ সালের জানুয়ারিতে জরুরি ব্যবহারের ছাড়পত্র পাওয়ার আগে নিরাপত্তা ও রোগ প্রতিরোধ সংক্রান্ত সব নথি খতিয়ে দেখা হয়। তারপরই জরুরি ভিত্তিতে রেস্ট্রিক্টেড ব্যবহারের অনুমতি জনস্বার্থে ও ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের ছাড়পত্র দেওয়া হয়। কোভ্যাক্সিনের (covaccine) প্রস্তাবিত ডোজ সাবজেক্ট এক্সপার্ট কমিটির বা বিষয়ভিত্তিক বিশেষজ্ঞ কমিটির ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অনুমোদন বিজ্ঞান ভিত্তিক। মিডিয়াতে যে ‘অবৈজ্ঞানিক পরিবর্তনের’ কথা বলা হচ্ছে তা করা হয়েছে ভারতবায়োটেকের নির্দিষ্ট নথি ও ডিজিসিআইয়ের ছাড়পত্র পেয়ে। পরবর্তীতে ভারত বায়োটেক ও সিডিএসসিওর বিশেষজ্ঞ কমিটির থেক তথ্য পেয়ে ১১ মার্চ ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল (clinical trial) থেকে তা সরিয়ে নেওয়া হয়। যা অনুমোদন দেওয়া হয়েছে সিডিএসসিওর এক্সপার্ট কমিটির অনুমোদনেই দেওয়া হয়েছে। ওই বিশেষজ্ঞ কমিটিতে চিকিৎসা ক্ষেত্রেরও বিশেষজ্ঞরা রয়েছেন।