বিহার: পরীক্ষা (Exam) দিতে এসে অজ্ঞান হয়ে পড়ল দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্র। না, পরীক্ষায় কঠিন প্রশ্নপত্র এসেছে বলে জ্ঞান হারায়নি সে। কারণ অন্য। যে ক্লাস রুমে সে পরীক্ষা দিতে বসেছিল, সেখানে সে একাই ছেলে, বাকি ৫০ জন মেয়ে পরীক্ষার্থী ছিল। তাতেই নার্ভাস হয়ে বেহুঁশ হয়ে পড়ে সে।
বিহারের (Bihar) শরিফ আল্লামা ইকবাল কলেজের (Sharif Allama Iqbal College) ছাত্র মণি শঙ্কর। ব্রিলিয়ান্ট স্কুলে (Brilliant School) পরীক্ষার সিট পড়ে তার। পরীক্ষা দিতে গিয়ে ক্লাস রুমে ঢুকে সে বুঝতে পারে ৫০ জন মেয়ের সঙ্গে বসে লিখতে হবে তাকে। এই কারণেই ঘাবড়ে যায় সে। নার্ভাসনেস থেকে জ্বর (Fever) এসে যায় তার। তারপর অজ্ঞান হয়ে যায়।
শঙ্করের কাকিমা জানিয়েছেন, সঙ্গে সঙ্গে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কাকিমা বলেন, ও পরীক্ষা কেন্দ্রে গিয়ে দেখে ঘরটায় মেয়েদের দিয়ে ভর্তি। ও নার্ভাস হয়ে পড়ে এবং জ্বর এসে যায় এবং শেষে অজ্ঞান হয়ে যায়। সদর হাসপাতালে (Sadar Hospital) চিকিৎসার পর শঙ্করের অবস্থা এখন স্থিতিশীল বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: Weather: স্লগ ওভারে ব্যাটিং শুরু শীতের, কী জানাচ্ছে হাওয়া অফিস, দেখুন
গত সপ্তাহে ইন্দোরের (Indore) স্কুলে এক ১৬ বছর বয়সি ছাত্রীর হৃদরোগে (Cardiac Arrest) আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছিল। ঊষানগর স্কুলে প্রজাতন্ত্র দিবসের (Republic Day) রিহার্সাল করছিল একাদশ শ্রেণির বৃন্দা ত্রিপাঠী। হঠাৎ করেই অজ্ঞান হয়ে পড়ে যায় সে। বৃন্দাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ময়নাতদন্তে জানা গিয়েছে, তার চিবুকে আঘাত রয়েছে যা সম্ভবত পড়ে যাওয়ার ফলে হয়েছে। চিকিৎসকদের অনুমান, রাজ্যে প্রচণ্ড ঠান্ডা পড়ার কারণে হার্ট অ্যাটাক হয়ে থাকতে পারে।
গত ১১ জানুয়ারি থানে মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন স্কুলে মধ্যাহ্নভোজের বিরতির সময় রহস্যজনক মৃত্যু হয় আরও এক পড়ুয়ার। কাপুরবাউড়ি পুলিশ দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু হিসেবে রিপোর্ট দায়ের করেছে। যখন ১০ বছর বয়সী ওই পড়ুয়ার পরিবার অবশ্য তদন্তের দাবি জানিয়েছিল।