নয়াদিল্লি: ভয়ঙ্কর হয়ে উঠল ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়। বৃহস্পতিবার রাতে গুজরাতের স্থলভাগে আছড়ে পড়ার পর শক্তিক্ষয় করে ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয় শুক্রবার সকালে রাজস্থানে অবস্থান করে। গতকাল রাত পর্যন্ত রাজস্থানে অতি ভারী বৃষ্টিপাত চলে। এখনও পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড়ের কারণে গুজরাতে ২ জন প্রাণ হারিয়েছেন। আহত হয়েছেন ২২ জন। ঘূর্ণিঝড়ের ফলে গুজরাতের একাধিক এলাকায় গাছ পড়ে রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এমনকী গাছ পড়ে একাধিক ঘরবাড়ি থেকে গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ঘূ্র্ণিঝড়ে জেরে প্রায় ৫২৪টি গাছে সহ একাধিক ইলেকট্রিক পোল ভেঙে যায়। এর ফলে প্রায় এক হাজারের বেশি গ্রাম বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে। বিপর্য মোকাবিলা বাহিনী ইতিমধ্যে উদ্ধারকাজে নেমেছে। স্থানীয়দের উদ্ধার করে বিরাপদস্থানে সরিয়ে নিয়ে গিয়েছে। রাতেই সৌরাষ্ট্র-কচ্ছ উপকূল পেরিয়ে শক্তি কমিয়েছে বিপর্যয়। অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় থেকে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হলেও স্থলভাগের উপরে চলে আসায় তীব্রতা ক্ষীণ হয়ে এসেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গতকাল রাতেই ফোনে গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেলের সঙ্গে কথা বলেন। ভাবনগরে গবাদি পশুকে জলের তোড়ে ভেসে যাওয়া থেকে বাঁচাতে বাবা ও ছেলের মৃত্যু হয়েছে।
ঝড়-বৃষ্টিতে পশ্চিম উপকূল যখন ভাসছে, তখন দক্ষিণবঙ্গে তাপপ্রবাহের সঙ্গে চরম অস্বস্তিকর আবহাওয়ার হাত থেকে নিষ্কৃতি জোটেনি। আগামী রবিবারের পর দক্ষিণবঙ্গে হাওয়া বদলের সম্ভাবনা। উত্তরবঙ্গে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা। উত্তরবঙ্গের পার্বত্য এলাকায় ভূমিধস আর নিচু এলাকায় প্লাবনের আশঙ্কা। সব মিলিয়ে রবিবারের আগে বর্ষা দেখা দেবে না দক্ষিণবঙ্গে। বাংলায় বর্ষা প্রবেশ করলেও থমকে আছে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু। রবিবার থেকে বুধবারের মধ্যে দক্ষিণবঙ্গে ঢুকবে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু। আপাতত মালদহের উপরে তার অবস্থান। ১৮ থেকে ২১ জুনের মধ্যে ফের সক্রিয় হতে পারে মৌসুমি বায়ু এমনটাই অনুমান আবহাওয়াবিদদের।
প্রসঙ্গত, সাইক্লোন ‘বিপর্যয়’ মোকাবিলায় আগে থেকেই একগুচ্ছ সতর্কতামূলক পদক্ষেপ করা হয় গুজরাট প্রশাসনের পক্ষ থেকে। বুধবার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে একটি পর্যালোচনা বৈঠক করেছিলেন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার বিষয়টিকে দেওয়া হয় প্রাধান্য।
আরও পড়ুন: Panchayat Election 2023 | শামসেরগঞ্জে তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ
গুজরাটের এক প্রশাসনিক কর্তা জানিয়েছিলেন, জলোচ্ছ্বাস এবং ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। যে কোনও পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত প্রশাসন। খাবার জল, শুকনো খাবার এবং ওষুধের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে বিপর্যয় অনেকটাই শক্তি হারিয়েছে। ফলে বিধ্বংসী রূপে তা আছড়ে পড়বে না, এমনটাই জানা যাচ্ছে।