কলকাতা টিভি ওয়েবডেস্ক: অবশেষে শৈত্য কাটার ইঙ্গিত অসম-মিজেরাম সম্পর্কে। গত সপ্তাহে অসম-মিজোরাম সংঘাতে ৬ পুলিশ কর্মীর মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করল মিজোরাম সরকার। অসম সরকারের পক্ষ থেকে মিজোরাম সফরে নিষেধাঞ্গা তুলে নেওয়ার পর এই শোকপ্রকাশ করে জোরাথাঙ্গমান প্রশাসন। উত্তেজনা কমাতে ইতিমধ্যেই আলোচনা শুরু করেছে উত্তর-পূর্বের এই দুই রাজ্য। বৃহস্পতিবার শান্তি আলোচনার প্রথম বৈঠকটি হয় মিজোরামের আইজলে।
অসমের পক্ষ থেকে এদিন আলোচনায় যোগ দিতে আইজলে যান মন্ত্রী অতুল বোড়া এবং অশোক সিঙ্ঘল। মিজোরামের পক্ষ থেকে বৈঠকে ছিলেন রাজ্যের স্বরাষ্ট্রদফতরের মন্ত্রী লালচামিলানা এবং ভূমি-রাজস্ব মন্ত্রী লালরুয়াতকিমা।
আরও পড়ুন: কারাবাসের মেয়াদ শেষেও জেলে আটকে বাংলাদেশি মহিলা, ভারত সরকারের ভূমিকা দুর্ভাগ্যজনক: হাইকোর্ট
আলোচনায় সীমানায় শান্তি স্থাপনে ইতিবাচক পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানানও হয় দু পক্ষের তরফে। আলোচনায় সংঘর্ষ বিদীর্ণ এলাকায় আগামীদিনে পুলিশ মোতায়েন কিংবা অন্য কোনও নিরাপত্তা বাহিনীর পেট্রোলিং না করানোর ব্যাপারে সম্মত হয়েছে দুপক্ষই। আগামীদিনে অসম ও মিজোরাম দুপক্ষই আলোচনার মাধ্যমে সীমানা সংঘাতের চিরস্থায়ী সমাধানে পৌঁছবে বলেই আশবাদী ওয়াকিবহালমহল।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি অসম মিজোরাম সীমান্তে পুলিশি ক্যাম্প গঠন নিয়ে মিজোরামের সঙ্গে সংঘাতে লিপ্ত হয়ে অসম। দু’পক্ষের সংঘর্ষে মৃত্যু হয় অসমের ছয় জন পুলিশ কর্মীর। এর প্রতিক্রিয়ায় মিজোরামের কোলাসিব জেলা অবরুদ্ধ করে দেয় মিজোরাম সরকার। অতঃপর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
আরও পড়ুন: মধ্যপ্রদেশে ৭০ লক্ষ কালো টাকাসহ গ্রেফতার ৭ গুজরাটি
গত রবিবার উত্তরপূর্বে অসম মিজোরাম সংঘাতের আবহে এবার এবার একটি অভিনব সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কেন্দ্র। স্যাটেলাইট ইমেজের মাধ্যমে উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলির সীমানা নির্ধারণ করা হবে। রবিবার এমনটাই জানানো হয়েছিল কেন্দ্রের তরফ। বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে সীমানা পুনর্বিন্যাস হলে উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে সীমান্ত সংঘাত কিংবা সীমানা সমস্যার মত বিষয়গুলির সমাধান সম্ভব হবে বলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে।
বেশকিছু বছর আগে অসমি মিজোরামের মধ্যে একটি নো ম্যান্স ল্যান্ড তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু এই নোম্যান্সল্যান্ড কে কেন্দ্র করেই বারবার বিবাদে জড়িয়ে এসেছে উত্তর-পূর্বের এই দুই রাজ্য। চলতি বছরে একাধিকবার সংঘাতে লিপ্ত হয় তাঁরা। কিন্তু এবারের এই সংঘাত সবকিছুতেই ছাপিয়ে যায়। দুপক্ষের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে নিহত হন একাধিক পুলিশ কর্মী। উত্তেজনার রেশ নাড়িয়ে দেয় জাতীয় রাজনীতিকেও।