নয়াদিল্লি: ২০২০-র গালওয়ান সংঘর্ষে ভারতের ২০ জন জওয়ানের মৃত্যু হয়েছিল বলে জানিয়েছিল নয়াদিল্লি। ওই ঘটনায় ঠিক কতজন চিনা সেনার মৃত্যু হয়েছিল তা প্রথমে স্পষ্ট করেনি বেজিং। ২০২১-এর ফেব্রুয়ারিতে চীন সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, ৪ জন সেনা জওয়ান গালওয়ানে সংঘর্ষে প্রাণ হারান। শুধু তাই নয়, ওই ৪ জনকে মরনোত্তর সামরিক সম্মানও দেয় বেজিং। অনেকেই দাবি করেছিলেন, কূটনৈতিক কারণে মৃত্যুর আসল তথ্য সামনে আনেনি চীন। এবার গালওয়ান সংঘর্ষ নিয়ে চাঞ্চল্যকর দাবি করল অস্ট্রেলিয়ার একটি সংবাদপত্র।
অস্ট্রেলিয়ার তদন্তমূলক সংবাদপত্র ‘দ্য ক্ল্যাক্সন’ এর দাবি, সংঘর্ষের রাতে গালওয়ান নদীর কনকনে ঠাণ্ডা জলে ডুবে ৩৮ জন চিনা সেনার মৃত্যু হয়েছিল। সংঘর্ষের পর ভারতের পাল্টা আক্রমণে মুখে পড়ে পালানোর সময় চিনা সেনা শীতবস্ত্রটুকু পরারও সময় পায়নি। খরস্রোতা নদী পেরোতে গিয়ে জলে ডুবে তাঁদের মৃত্যু হয়। অর্থাৎ, গালওয়ানে সেদিন মোট ৪২ চিনা সেনার মৃত্যু হয়েছিল। প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, ঘটনার পর ওই সৈন্যদের মৃতদেহ প্রথমে শিকনহে শহীদ কবরস্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর নিহত সৈন্যদের শহরে স্থানীয় অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।
‘দ্য ক্ল্যাক্সন’ এর দাবি, সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ে যাঁরা গবেষণা করছেন, তাঁরা গালওয়ান সংঘর্ষের রিপোর্ট তৈরি করেছেন। ওই রিপোর্টে কী কারণে সংঘর্ষে বেঁধেছিল, কোন কোন তথ্য এখনও প্রকাশ করা হয়নি, তার উল্লেখ রয়েছে। একটি রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ভারতের সঙ্গে চুক্তি লঙ্ঘন করে গালওয়ানে বাফার জোনে পরিকাঠামো তৈরির কাজ চালাচ্ছিল লাল ফৌজ। সেই সময় আচমকা দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষে বেধে যায়। এর পর ভারতীয় সেনাবাহিনীর তৈরি একটি সেতু পেরোতে গিয়ে জলে ডুবে বেশ কয়েকজন চিনা জওয়ানের মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: Rahul Gandhi: পাকিস্তান-চীনকে জোটবদ্ধ হতে সাহায্য করেছে মোদি সরকার, অভিযোগ রাহুলের