কলকাতা: সীমান্তে একাধিক অভিযোগ সামনে আসছিলই। কখনও তোলাবাজি। কখনও বিএসএফের দাদাগিরি। কখনও আবার ট্রাক টার্মিনাসে তোলাবাজি। বৃহস্পতিবার এই সীমান্ত-অভিযোগের সমস্যা সমাধানে কড়া বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। পরিবহন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে কঠোর বার্তা দিয়ে মমতার মন্তব্য, ৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সীমান্ত সংলগ্ন ট্রাক টার্মিনাস নিয়ে নেবে পরিবহন দফতর। ৮ তারিখ থেকে এই সংক্রান্ত কোনও অভিযোগ না আসে, তা নিয়েও ফিরহাদকে নির্দেশ দেন মমতা।
পেট্রাপোল, জয়গাঁ, চ্যাংরাবান্ধায় পরিবহন সংক্রান্ত অভিযোগ নিয়ে সংশ্লিষ্ট দফতরকে দ্রুত পদক্ষেপ করার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। ৭টি জেলায় পার্কিং ব্যবস্থার উপর সরকার নজর রাখবে। এর পরই মমতার মন্তব্য, রাজস্ব বাড়াতে সরকার বিশেষ ভাবে পদক্ষেপ করছে। অনেক সীমান্ত থেকে তোলাবাজির অভিযোগ শোনা যাচ্ছে। ট্রাক টার্মিনাসে টাকা তোলা হচ্ছে। যা কয়েকজনের পকেটে যাচ্ছে। সরকার ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, বদনাম কুড়োচ্ছে। এটা চলতে পারে না।
মমতার স্পষ্ট বার্তা, বিভিন্ন ট্রাক টার্মিনাসে দালালচক্রের অভিযোগ শোনা যাচ্ছে। দ্রুত এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা করতে হবে। সাধারণ মানুষ যেখানে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, সেখানে কড়া নজর দিতে হবে। যা আয় হবে তা ট্রেজারিতে জমা দিতে হবে। সেই টাকা রাজ্য সরকার নানা প্রকল্পের কাজে লাগাবে।
শুধু সীমান্ত নয়, বিভিন্ন ব্যবসায়িক-বন্দর এলাকার দুর্নীতি নিয়েও মুখ খোলেন মুখ্যমন্ত্রী। যেমন তাজপুরে তোলাবাজি-দুর্নীতির অভিযোগ শোনা যাচ্ছিল অনেক দিন থেকেই। সেই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ, তাজপুরে তোলাবাজি রুখতে প্রয়োজনে আলাদা থানা তৈরি করা হবে। যাতে স্বচ্ছতা এবং দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন থাকে, এদিনের প্রশাসনিক বৈঠকে সেই বার্তা ফের একবার দিয়ে রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী।
