চণ্ডীগড়: অমৃতসরের স্বর্ণমন্দিরের ঘটনায় চরম উত্তেজনার মধ্যেই রবিবার সকালে পঞ্জাবের কপুরথলা জেলায় ফের এক যুবককে পিটিয়ে মারার অভিযোগ উঠল। অভিযোগ, কপুরথলা গুরুদ্বার থেকে ধর্মীয় ঝান্ডা খুলে নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন ওই যুবক। তার প্রেক্ষিতেই ধর্মীয় ভাবাবেগ থেকে অভিযুক্তকে গণপ্রহার করে মেরে ফেলার অভিযোগ ওঠে।
পুলিস সূত্রে খবর, রবিবার সকালে এই গণপ্রহারের ঘটনাটি ঘটেছে কপুরথলার নিজামপুর গ্রামের এক গুরুদ্বারে। সেখানকার নিশান সাহিব (ধর্মীয় পতাকা) খুলে ফেলার চেষ্টা করেন ওই যুবক। অভিযুক্ত গুরুদ্বারের পবিত্রতা নষ্ট করেছে দাবি করে, তাঁকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়।
ঘটনার পর গুরুদ্বারের বক্তব্য, পুলিস বা কোনও সংস্থার হস্তক্ষেপ কাম্য নয়। এ ভাবে বারবার ‘ধর্মীয় অবমাননা’র ঘটনায় পঞ্জাব পুলিস ও রাজ্য সরকারকে দায়ী করে কপুরথলার গুরুদ্বার কমিটি। রবিবার সকালের এই ঘটনার জেরে উত্তেজনার সৃষ্টি হলে, শিখ ধর্মাবলম্বীদের জড়ো হতে বলে গুরুদ্বার কমিটি।
কপুরথলার পুলিস দাবি করে, কোনও ধর্মীয় অবমাননার ঘটনা ঘটেনি। অভিযুক্ত ওই ধর্মীয় ঝান্ডা গুরুদ্বার থেকে চুরি করতে গিয়েছিলেন। তার জেরেই পিটিয়ে মারার ঘটনা ঘটেছে। পঞ্জাবের ডিজিপি সিদ্ধার্থ চট্টোপাধ্যায় টুইট করে বলেন, ‘ধর্মীয় সম্প্রীতি নষ্ট করে পঞ্জাবের আইন-শৃঙ্খলা ভাঙার চেষ্টা হলে, তা কড়া হাতে দমন করা হবে।’ অমৃতসর ও কপুরথলার দুর্ভাগ্যজনক ঘটনাকে পুলিস যে গুরুত্ব দিয়ে দেখছে, তা তিনি স্পষ্ট করে দেন।
গত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পঞ্জাবে দ্বিতীয় ‘ধর্মীয় অবমাননা’র ঘটনা ঘটল। এর আগে শনিবার অমৃতসর মন্দিরে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করার অভিযোগ ওঠে। স্বর্ণমন্দিরের পবিত্র উপাসনাস্থলে ঢুকে শিখদের কৃপাণ হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন যুবক। যার জেরে গণপ্রহারে তাঁকে পিটিয়ে মেরে ফেলার অভিযোগ ওঠে। ঘটনার সময় সেখান গ্রণ্থ সাহিবের পাঠ চলছিল। ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত লাগার কারণেই এই ঘটনা। রবিবার সকাল থেকে অমৃতসর মন্দিরের নিরাপত্তা বাড়িয়ে দিয়েছে পুলিস। সেইসসঙ্গে SIT গঠন করে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: Golden Temple: অমৃতসরের স্বর্ণ মন্দির সংলগ্ন এলাকায় সংঘর্ষে মৃত্যু যুবকের, ভাইরাল ভিডিয়ো