নয়াদিল্লি: পদত্যাগ মণীশ সিসোদিয়ার (Manis Sisodia)। দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিলেন মণীশ সিসোদিয়া (Delhi Deputy Chief Minister Manish Sisodia)। পাশাপাশি দিল্লির স্বাস্থ্যমমন্ত্রীর পদ ছাড়লেন সত্যেন্দ্র জৈনও (Satyendar Jain)। মঙ্গলবার দুজনেই তাঁদের পদত্যাগপত্র দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের (Arvind Kejriwal) কাছে পাঠিয়েছেন। তা গৃহীতও হয়েছেন। প্রসঙ্গত, দিল্লি সরকারের আবগারি দুর্নীতি মামলায় রবিবার রাতে মণীশকে গ্রেফতার করে সিবিআই। এদিন সিসোদিয়া তাঁর গ্রেফতারিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সিবিআইয়ের (CBI) বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ হন। বিকেল ৩টে ৫০ মিনিটে তাঁর আবেদন শুনতে রাজি হয় শীর্ষ আদালত। তবে মণীশের সেই আবেদন খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট।
সোমবার সিসোদিয়াকে গ্রেফতারির প্রতিবাদে আপ কালাদিবস (Blackday) পালন করে। রাজধানীর বিজেপি সদর কার্যালয়ের (BJP Headquarter) সামনে বিক্ষোভের সময় আধা সামরিক বাহিনী ও পুলিশের সঙ্গে আপ কর্মী-সমর্থকদের ধস্তাধস্তি হয়। অনেক আপ কর্মীকে আটক করা হয়েছে। বিক্ষোভকারী জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিও চালায় বাহিনী। প্রায় শ’খানেক আপ বিক্ষোভকারীকে বিজেপির সদর দফতর দীনদয়াল উপাধ্যায় মার্গ থেকে আটক করে বিভিন্ন জেলার থানায় পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন:Adeno Virus: অ্যাডিনো ভাইরাসে কোনও শিশুর আক্রান্তের খবর নেই, দাবি ডেপুটি মেয়রের
এর আগে আপ প্রধান তথা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেন, আমি বলছি সিবিআইয়ের অনেক অফিসারই মণীশের গ্রেফতারি বিরুদ্ধে ছিলেন। সিসোদিয়াকে সিবিআই অফিসাররা বিরাট সম্মান করেন। কিন্তু, তাঁদের উপর ভয়ঙ্কর রাজনৈতিক চাপ রয়েছে। ফলে তাঁরা চাপের মুখেই গ্রেফতার করতে বাধ্য হয়েছেন।
আপ অভিযোগ তুলেছে, বিজেপি যে পরিস্থিতি গড়ে তুলছে তা জরুরি অবস্থার (Emergency) শামিল। রবিবার থেকে এ পর্যন্ত তাদের ৮০ শতাংশ নেতাকে আটক করে রেখেছে পুলিশ। এটা গণতন্ত্র নাকি অন্য কিছু। ২৪ ঘণ্টার বেশি কী করে আটক করে রাখা যায় কাউকে, প্রশ্ন তুলেছে আপ।
প্রসঙ্গত, রবিবার সিবিআই-এর (CBI) হাতে গ্রেফতার হন দিল্লির (Delhi) উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া (Manish Sisodia)। আবগারি (Liquor Policy) দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার হন তিনি। এই মামলায় বেশ কয়েকবার সিবিআই দফতরে হাজিরা দিয়েছিলেন তিনি। একাধিবার জিজ্ঞাসাবাদ চলেছে। রবিবার নয় ঘণ্টার ম্যারাথন জেরার পর পদক্ষেপ করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি। গ্রেফতার যে হবেন তা হয়তো জানতেন সিসোদিয়া। তিনি বলেছিলেন, সাত-আট মাস জেল খাটার জন্য তিনি প্রস্তুত।
সিবিআই জানিয়েছে, তদন্ত অসহযোগিতার জন্যই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি কোনও প্রশ্নের সোজা উত্তর দিতে চাইছিলেন না। অনেক প্রশ্ন এড়িয়ে গিয়েছেন। কখনও বলেছেন, মনে করতে পারছেন না। যাই হোক, তাঁর গ্রেফতারি নিয়ে সোমবার উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ে রাজধানীতে। তাই সকাল থেকেই পুলিশে পুলিশে ছয়লাপ করে দেওয়া হয়েছিল দিল্লির বিভিন্ন রাস্তা।