কলকাতা: অ্যাডিনো ভাইরাসে (Adenovirus) আক্রান্ত হয়ে যখন পর পর শিশু (Child) মৃত্যু ঘটনা ঘটছে, তখন কলকাতার ডেপুটি মেয়র অতীন (Atin Ghosh) ঘোষের দাবি, এখনও পর্যন্ত অ্যডিনো ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার কোনও খবর মেলেনি। মঙ্গলবার তিনি জানান, এই মরশুমে অনেকেই জর সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হন। এই সময় শ্বাসকষ্টজনিত উপসর্গ বা অন্যান্য উপসর্গ নিয়ে শিশুরা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হয়। এর সঙ্গে অ্যাডিনো ভাইরাসের কোনও সম্পর্ক নেই। তিনি আরও বলেন, এই রোগে আক্রান্ত হয়ে যদি কোনও শিশু মারা গিয়েও থাকে, তারা কেউই কলকাতার বাসিন্দা নয়।
অতীন জানান, কলকাতা পুরসভার পক্ষ থেকে সাধারণ মানুষের সচেতনতা গড়ে তোলার লক্ষ্যে এন্ড মাইকের মাধ্যমে পাড়ায় পাড়ায় প্রচার চালানো হচ্ছে। কোনও শিশুর শরীরে জর, সর্দি, কাশি জাতীয় উপসর্গ দেখা দিলে, যত দ্রুত সম্ভভ নিকটবর্তী স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বা চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। তিনি আরও জানান, অ্যাডিনো ভাইরাস করোনা সংক্রমণের থেকেও অনেক বেশি মারাত্মক ও সংক্রামক। করোনা সংক্রমণে মানুষের ক্ষতির আশঙ্কা যতটা না ছিল,তার থেকে অনেক বেশি সংক্রমণ ও ক্ষতির আশঙ্কা থেকে যাবে অ্যাডিনো ভাইরাসের সংক্রমন ঘটলে।
অ্যাডিনো ভাইরাসের আক্রান্ত হয়ে এখনও পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন হাসপাতালে অন্তত ২০ জন শিশুর মিরত হয়েছে বলে বিভিন্ন সুত্রের দাবি। মঙ্গলবারও বিসি রায় শিশু হাসপাতালে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। গত ৭২ ঘণ্টায় কলকাতার বিভিন্ন হাসপাতালে ছটি শিশু মারা গিয়েছে। শহরের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে ঠায় ঠায় নাই অবস্থা। অনেক বেডে দু-তিনটি শিশুকে রাখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: Panchayet Elections: পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে মামলা করবে কংগ্রেস
এদিন নবান্নে অ্যাডিনো ভাইরাস নিয়ে বৈঠক করেন স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ বলেন, নিগমের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় । বৈঠক সেরে স্বাস্থ্যসচিব বিধান রায় শিশু হাসপাতালে যান পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে। সন্ধ্যায় ফের তিনি স্বাস্থ্যভবনে বৈঠক করেন স্বাস্থ্যকর্তাদের সঙ্গে। নবান্নের বৈঠক বিভিন্ন হাসপাতালে শিশুবিভাগে আরও বেড বাড়ানোর কথা বলা হয়।