দিল্লি : স্নাতক প্রোগ্রাম প্রত্যাহার, এমফিল ও পিএইচডি জমা দেওয়ার সময়সীমা বাড়ানো সহ একাধিক দাবি নিয়ে ১৫ নভেম্বর সোমবার দুপুর ১২টা নাগাদ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সামনে বিক্ষোভ দেখালেন দিল্লির এসএফআই-এর ছাত্র সংগঠন। নেট ও স্নাতক প্রোগ্রামের ফেলোশিপ প্রত্যাহার, এমফিল ও পিএইচডি’র পেপার জমা দেওয়ার সময়সীমা বাড়ানো, বৃত্তি পরীক্ষার সময় বাড়ানো এবং সেই সঙ্গে যত দ্রুত সম্ভব ক্যাম্পাস চালু করার দাবি জানিয়েছেন ছাত্রছাত্রীরা।
আরও পড়ুন : কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়াদের টিকা দিতে নির্দেশ স্বাস্থ্য দফতরের
শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের সঙ্গে তাঁদের দেখা না হলেও শিক্ষামন্ত্রীর প্রতিনিধি মৃত্যুঞ্জয় বেহেরার কাছে নিজেদের এই দাবিদাওয়াগুলি রেখেছেন তাঁরা। এসএফআই ছাত্র সংগঠনের তরফে ভিপি শানু, ময়ূখ বিশ্বাস, সুমিত কাটারিয়া এবং উন্নিমায়া নিজেদের দাবির কথা জানিয়ে একটি স্বারকলিপি জমা দেন। তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলো পুনরায় খোলার দাবি জানিয়েছেন। শিক্ষার্থীরা পুনরায় ক্লাস রুমে ফিরে আসার দাবিতে ক্যাম্পাসে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটও করছেন। এদিন এসএফআইয়ের জাতীয় সাধারণ সম্পাদক ময়ূখ বিশ্বাস বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দূরে রাখতে অনড়। তাঁর মতে দেশের সরকার একাদিক নীতি দেখিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ছাত্রসমাজকে দূরে সরিয়ে রেখে পুরো শিক্ষাব্যবস্থাকে নিয়ন্ত্রণ করতে চাইছে। ময়ূখ আরও জানান, সরকার যেভাবে সব মার্কেট ও অন্যান্য সামাজিক স্থানগুলিকে বেসরকারিকরণ করছে, সেই ভাবে দিল্লির অধীনে কলেজগুলিকেও বেসরকারিকরণের চেষ্টা করছে। কোভিড পরবর্তী সময়ে যেভাবে অন্যান্য সবকিছু খুলছে তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে কেন বন্ধ রাখা হবে, সে বিষয়ে সরকারকে উত্তর দিতে হবে বলে জানিয়েছেন ময়ূখ বিশ্বাস।

চার বছরের আন্ডারগ্রাজুয়েট প্রোগ্রাম যার সঙ্গে যে সকল ছাত্রছাত্রীরা যুক্ত হয়। কিন্তু আন্ডারগ্রাজুয়েট কোনরকম গুণগত মান পরিবর্তন না করেই শিক্ষার্থীদের জন্য চালু রাখা হয়েছে যেটা কেবলমাত্র শিক্ষার খরচ বাড়ায় বলে জানিয়েছে এসএফআইয়ের দিল্লি রাজ্য সচিবালয়ের সদস্য উন্নিমায়া। দিল্লির রাজ্য সভাপতি সুমিত কাটারিয়া জানান ইউজিসি স্কলারশিপ বাতিল করার সিদ্ধান্তের তারা বিরোধী। কারণ পিএইচডি এবং এমফিল যারা করে তাদেরকে ইউজিসি ৮ হাজার ও ৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়। এই টাকা দেওয়ার ফলে গবেষক এবং ছাত্ররা নিশ্চিন্ত মনে গবেষণার কাজ চালাতে পারেন এবং তাদের দৈনন্দিন জীবনের কিছুটা সুরাহা হয়। ইউজিসির কাছে তারা পুনরায় এই ফেলোশিপের প্রদানের দাবি জানিয়েছে। এসএফআইয়ের চিত্র সংগঠনের তরফে শিক্ষামন্ত্রীর কাছে অনুরোধ জানানো হয়েছে যে তাদের দাবিগুলো বিবেচনা করা হোক এবং সেগুলি অবিলম্বে বাস্তবায়িত করা হোক।
