ওয়েব ডেস্ক: ভারতের বিচারবিভাগ (Judiciary System) এবং নির্বাহী শাখার ক্ষমতার ভারসাম্য নিয়ে ফের বিতর্ক উস্কে দিলেন উপরাষ্ট্রপতি তথা রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar)। শুক্রবার ভোপালের জাতীয় বিচারবিভাগীয় অ্যাকাডেমিতে এক আলোচনা সভায় তিনি সিবিআই (CBI) ডিরেক্টর নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির (Chief Justice of India) ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। ধনখড় বলেন, “সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি কেন সিবিআই ডিরেক্টরের মতো নির্বাহী নিয়োগের প্রক্রিয়ায় যুক্ত থাকবেন, তা পর্যালোচনার সময় এসেছে।” পাশাপাশি তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, “বিচারবিভাগ কি সরকারি শীর্ষ আধিকারিকদের নিয়োগে অংশ নিতে পারে?”
বর্তমানে সিবিআই ডিরেক্টর নিয়োগের জন্য তিন সদস্যের একটি উচ্চস্তরের কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটিতে থাকেন প্রধানমন্ত্রী, লোকসভার বিরোধী দলনেতা এবং সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি। এই প্যানেল যৌথভাবে যোগ্য প্রার্থী নির্বাচন করে। তবে ধনখড়ের মতে, এই ব্যবস্থায় বিচারবিভাগ নির্বাহী শাখার কাজে সরাসরি হস্তক্ষেপ করছে। এটি গণতান্ত্রিক কাঠামোর পরিপন্থী হতে পারে বলে মনে করেন উপরাষ্ট্রপতি।
আরও পড়ুন: মরছে হাজার হাজার মুরগি, হু হু করে ছড়াচ্ছে বার্ড-ফ্লু, জারি সতর্কতা
উল্লেখ্য, এর আগেও উচ্চ পর্যায়ের সরকারি আধিকারিক নিয়োগের ক্ষেত্রে বিচারবিভাগের ভূমিকা কমিয়ে আনার উদ্যোগ নিয়েছে মোদি সরকার। ২০২৩ সালে ভারতের সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) এক রায়ে বলা হয়েছিল, নির্বাচন কমিশনের তিন প্রধান সদস্যের নিয়োগে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। কিন্তু পরবর্তীতে কেন্দ্রীয় সরকার আইন সংশোধন করে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির পরিবর্তে এক জন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে অন্তর্ভুক্ত করে।
তবে ধনখড়ের সাম্প্রতিক মন্তব্য থেকে ইঙ্গিত মিলছে, ভবিষ্যতে সিবিআই প্রধান নিয়োগ প্রক্রিয়াতেও বিচারবিভাগের ভূমিকা সীমিত করা হতে পারে। তবে সমালোচকদের মতে, বিচারবিভাগীয় উপস্থিতি থাকায় নিয়োগের নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়। কিন্তু সরকার যদি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ নেয়, তাহলে সেই স্বচ্ছতা বজায় থাকবে কি না, তা নিয়ে একটা প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
দেখুন আরও খবর: