অজয় সাহ, আলিপুরদুয়ার: শীতের শুরুতেও ম্যালেরিয়া ও ডেঙ্গির প্রকোপ কমছে না আলিপুরদুয়ারে। ডেঙ্গি মোকাবিলায় একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। বাড়ি বাড়ি গিয়ে রক্তের নমুনা সংগ্রহ ও জীবাণুনাশক স্প্রে দেওয়ার কাজ চলছে।
এখনও পর্যন্ত আলিপুরদুয়ার জেলায় ডেঙ্গিতে আক্রান্তের সংখ্যা ৭০০’র বেশি। জেলার মধ্যে সব থেকে বেশি ডেঙ্গি আক্রান্তের হদিশ মিলেছে কালচিনি ব্লকে। অন্যদিকে এই বছর এখন জেলায় ৩৫০ জন ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত। তার মধ্যে অনেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন। সব থেকে বেশি ম্যালেরিয়া আক্রান্তের হদিশ মিলেছে কুমারগ্ৰাম ব্লকে।
আরও পড়ুন:মোদিজি কখনও সংবিধান পড়েননি, কটাক্ষ রাহুল গান্ধীর
ডেঙ্গি ও ম্যালেরিয়া প্রবণ এলাকা বলে চিহ্নিত চা বলয়। আলিপুরদুয়ার জেলার মধ্যে কালচিনি ও কুমারগ্ৰাম এই দুটি চা বলয় অধ্যুষিত ব্লকে বরাবর ডেঙ্গি ও ম্যালেরিয়া বেশি আক্রান্তের হদিশ মেলে।
ডেঙ্গিতে কাঁপছে সীমান্ত শহর জয়গাঁ ও তার আশপাশের এলাকা। গত এক সপ্তাহে এই এলাকায় ডেঙ্গি আক্রান্ত ৯ জন।
অপরদিকে, ম্যালেরিয়ায় কাঁপছে কালচিনি গ্রাম পঞ্চায়েতের একাধিক এলাকা। এক সপ্তাহে এই গ্রাম পঞ্চায়েতে আক্রান্ত ৯ জন। ফলে বর্ষার শেষেও পতঙ্গবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণে জোর দিয়েছে ব্লক স্বাস্থ্য দফতরের। এবছর বর্ষার শুরু থেকেই কালচিনি ব্লকে চোখ রাঙাচ্ছিল ডেঙ্গি। এরপর শীতের মরশুম শুরু হলেও এখনও তা কমার নাম নিচ্ছে না।
স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত কালচিনি ব্লকে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন ১৫৯ জন। যার মধ্যে গত এক সপ্তাহে আক্রান্ত ১১ জন এবং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দুজন। আক্রান্তের মধ্য ৯ জনই সীমান্ত শহর জয়গাঁ ও দলসিংপাড়া এই এলাকার। স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী বছরের শেষের দিকেও এরূপ পতঙ্গবাহিত রোগের বার বাড়ন্ত নিয়ে চিন্তিত স্বাস্থ্য দফতর।
এ বিষয়ে কালচিনি ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক শ্রীকান্ত মন্ডল বলেন, ‘এবছর বর্ষাও দীর্ঘ সময় ধরে ছিল, ফলে পতঙ্গবাহিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যাটা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তা রুখতে আমাদের তরফে ‘ফিভার সার্ভেও’ করা হচ্ছে। কারও জ্বর হলে আমাদের কর্মীরা তার বাড়িতে পৌঁছে তার রক্ত পরীক্ষা করছেন।
পাশাপাশি, হাসপাতালের বহিঃবিভাগেও প্রতিনিয়ত রক্ত পরীক্ষা চলছে এবং মানুষকে সচেতনও করছি আমরা।
দেখুন অন্য খবর: