বারুইপুর: ধর্ষণের অভিযোগে পুলিশ এফআইআর না নেওয়ায় থানার সিসিটিভি (CCTV) ফুটেজ সংরক্ষণের নির্দেশ আদালতের (Court)। থ্যালাসেমিয়া (Thalassemia) আক্রান্ত দম্পতির ২৪ বছর আগে বিয়ে হয়। তাঁদের দুই কন্যা সন্তান হয়। পরে দুজনেই মারা যায় থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত হয়ে। এরপরে ২০১৯ সাল থেকে স্ত্রীর উপরে অত্যাচার শুরু করেন স্বামী। নিজের বংশ রক্ষায় সন্তান পেতে স্ত্রীকে এক যুবকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হতে বাধ্য করেন বলে অভিযোগ। আপত্তির পরেও বেশ কিছুদিন ওই যুবকের অত্যাচার সহ্য করেন মহিলা। তারপরেই থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
১ এপ্রিল ফের ওই যুবক তাঁর ঘরে ঢোকার চেষ্টা করলে তিনি বাধা দেন। অভিযোগ, তাঁকে মারধর করে ওই যুবক। তিনি বারুইপুর থানায় গিয়ে মৌখিক ভাবে ধর্ষণের অভিযোগ করেন। কিন্তু পুলিশ এফআইআর করেনি বলে অভিযোগ। পরে ৮ মে লিখিত অভিযোগ করেন মহিলা।
আরও পড়ুন: তামিলনাড়ুতে বিষ মদে মৃতের সংখ্যা বেড়ে
বিষয়টি আদালতে উঠলে এই বিষয়ে রাজ্য সরকার জানিয়েছে, সেদিন লিখিত অভিযোগ না পাওয়ায় পুলিশ এফআইআর করেনি। অভিযুক্তকে ১৮ জুন গ্রেফতার করা হয়েছে। বিচারপতি জানিয়েছেন, লিখিত অভিযোগ পেতে হবে কেন? তিনি মুখে বলেছেন সেটা জিডি করেছেন। কিন্তু এফআইআর পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছিলেন! পুলিশ একটা পক্ষ নিয়েছে। ধর্ষণে অভিযুক্তকে কী করে থানা ছেড়ে দেয়? আপনারা কোনও নিরাপত্তা দেননি মহিলাকে। আপনারা অভিযুক্তকে নিরাপদে সরে যাওয়ার সুযোগ দিয়েছেন। মহিলার স্বামীর বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ? কেন তাকে হেফাজতে নেওয়া হয়নি?
আদালতের নির্দেশ, ১২ থেকে ১৩ জুনের রাতের বারুইপুর থানার সিসিটিভি ও এসপি অফিসের ওই একদিনের সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণ করতে হবে। ওই মহিলার কোনও ক্ষতি যাতে না হয় সেটা নিশ্চিত করতে হবে। সাক্ষীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। ৩০ জুলাই মামলার পরবর্তী শুনানি।
আরও খবর দেখুন