বীরভূম: রাত থেকে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির কারণে জেলায় জেলায় বন্যা পরিস্থিতি। জলমগ্ন কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলা। একটানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন বীরভূমও। নিম্নচাপের ফলে বিভিন্ন জলাধার থেকে জল ছাড়ায় বেড়েছে বীরভূমের নদনদীর জলস্তর। এদিকে লাভপুরের কুয়ে নদীর জল বইছে বিপদসীমার উপর দিয়ে। প্লাবনের আশঙ্কা ঠিবা ও জামনা অঞ্চলের ১৫টি গ্রামে। তবে তৎপর রয়েছে সেখানকার জেলা প্রশাসন। এদিকে আগেই বাঁধ পরিদর্শনে গিয়েছিলেন জেলাশাসক এবং বিডিও। জলবন্দি একাধিক গ্রাম।
এদিকে বন্যার আশঙ্কার মধ্যেই মঙ্গলবারই ১ হাজার ২৫৯ জনকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন। নবান্ন সূত্রের খবর, বাঁকুড়ায় ৯৭০ জন বাসিন্দাকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিপর্যস্ত সিকিম, হড়পা বানে নিখোঁজ ২৩ জওয়ান
বঙ্গোপসাগরের গভীর নিম্নচাপ। সঙ্গে ঘূর্ণাবর্ত। খুব স্বাভাবিকভাবেই রাজ্যের দক্ষিণবঙ্গের অন্যান্য জেলার পাশাপাশি বীরভূম জেলাতেও নাগারে বৃষ্টি। বিগত কয়েকদিন ধরে প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টি হয়েছে বীরভূম জেলায়। জল ছেড়েছে বিভিন্ন জলাধার থেকে। খুব স্বাভাবিকভাবেই ফুলে ফেঁপে উঠেছে জেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া নদ নদীগুলো।
বীরভূমের লাভপুরের উপর দিয়ে বয়ে গেছে কুয়ে নদী। কুয়ে নদীর জলস্তয় বেড়েছে। যেভাবে বৃষ্টি হচ্ছে খুব স্বাভাবিকভাবেই আশঙ্কা করা হচ্ছে লাভপুর ব্লকের ঠিবা ও জামনা অঞ্চলের ১৫টি গ্রাম প্লাবনের আশঙ্কা রয়েছে। ঠিবা থেকে কান্দরকুলে গ্রাম যাওয়ার সেতু জলের তলায়। কুয়ে নদীর উপর মনিকর্ণিকা থেকে বলাইচণ্ডী যাওয়ার রাস্তা জলের নিচে।
বাসিন্দাদের দাবি, অবিলম্বে ঠিবা থেকে কান্দরকুলে যাওয়ার কুয়ে নদীর উপর সেতু নতুন করে করা হোক। কারন প্রতিবছর বর্ষায় কুয়ে নদীর জল ছাপিয়ে লাভপুর থেকে কান্দরকুলে গ্রাম যাওয়ার কুয়েনদীর উপর কজওয়ে ডুবে যায়। জীবনে ঝুঁকির পারাপার করতে হয় গ্রামবাসীকে।
অন্য খবর দেখুন: