মণিপুর: মণিপুরের অশান্তি ফের ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। গত সপ্তাহ থেকে উত্তর-পূর্ব ভারতের এই রাজ্যের জিরিবাম এলাকায় উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে। গত বৃহস্পতিবার সন্দেহভাজন মেইতি বিদ্রোহীরা হামার সম্প্রদায়ের এক মহিলাকে খুন করে এবং কয়েকটি বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়। মৃত মহিলার স্বামী অভিযোগ করেন যে, ওই তাঁকে খুন করার আগে ধর্ষণ করা হয়েছিল। এর পরের দিন, মেইতি সম্প্রদায়ের এক মহিলাকে সন্দেহভাজন কুকি বিদ্রোহীরা ধানক্ষেতে কাজ করার সময় গুলি করে খুন করে। সোমবার সকালে আবারও ইম্ফল পূর্ব জেলার পাহাড়ি এলাকা থেকে সন্দেহভাজন কুকি বিদ্রোহীরা গুলি চালায়। এই অশান্ত পরিবেশকে নিয়ন্ত্রনে আনার জন্য সেই এলেকায় বিশেষ অভিযান শুরু করে সিআরপিএফ।
আরও পড়ুন: প্রভাবশালী তত্ত্বে জামিন খারিজ প্রজ্জ্বল রেভান্নার
আজ মণিপুরের জিরিবাম জেলার বরবেকরা থানা এলাকায় সন্দেহভাজন কুকি বিদ্রোহীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষে অন্তত ১১ জন কুকি বিদ্রোহী নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় কয়েকজন সিআরপিএফ সদস্যও আহত হয়েছেন বলে সূত্রের খবর। সেখানের পরিস্থিতি এখনো অশান্ত। উল্লেখ্য, এই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয় যখন, সন্দেহভাজন কুকি বিদ্রোহীরা জিরিবামের থানায় দু’দিক থেকে আক্রমণ চালায়। গত কয়েক মাসে এই থানার উপর একাধিকবার হামলা চালানো হয়েছে। এদিন থানায় আক্রমণের পর, কুকি বিদ্রোহীরা প্রায় এক কিলোমিটার দূরে জাকুরাদর কারং অঞ্চলের ছোট একটি বসতিতে ছড়িয়ে পড়ে এবং সেখানের একাধিক বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিতে শুরু করে। এর পরই তারা নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে গুলি বিনিময়ে জড়িয়ে পড়ে। এই গুলির লড়াইয়ে ১১ জন কুকি বিদ্রোহীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
পড়ুন আরও খবর: