মুম্বই: কী হবে ‘মারাঠা স্ট্রংম্যান’ তথা রাজনীতির ‘ভীষ্ম’ ৮৪ বছরের শরদ পওয়ারের (Sharad Pawar)? পওয়ারের দল এনসিপি মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনের (Maharashtra Assembly Election) ফল প্রকাশের পর গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। রাজনৈতিক মহল মনে করছে, নেতৃত্বে নতুন মুখের পরিচয় দেওয়ার এবং তাঁদের জিতিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি পূরণে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। মহারাষ্ট্রের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী যশবন্তরাও চহ্বান তাঁকে যেভাবে তৈরি করেছিলেন, তিনিও পরবর্তী প্রজন্মকে সেভাবে তৈরি করতে চেয়েছিলেন বলে জানিয়েছিলেন। কিন্তু, তাঁর দাঁড় করানো তরুণ মুখ সাফল্য পায়নি। তাঁর নিজের নির্বাচনী এলাকা বারামতি। সেখানে প্রথমে তিনি এবং পরে তাঁর ভাইপো অজিত পওয়ার ওই আসন থেকে প্রতিনিধিত্ব করছেন। তিনি ১৯৬০ সাল থেকে প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। এখন রাজনীতিতে অজিত পওয়ার তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বি। শারদ তাঁর ৩২ বছর বয়সী নাতি যোগেন্দ্র পাওয়ারকে দাঁড় করিয়েছিলেন। কিন্তু, যোগেন্দ্র পরাজিত হয়েছেন। জনতা আরও অভিজ্ঞ অজিত পাওয়ারকেই বেছে নিয়েছেন। এনসিপি নির্বাচনে ৫৯টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল এবং ৪১টিতে জয়ী হয়। যখন এনসিপি (এসপি) ৮৯টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে কিন্তু মাত্র দশটি আসন পেতে সক্ষম হয়েছে।
ইন্দাপুরের আসনে পওয়ার পুরনো মুখ হর্ষবর্ধন পাটিলকে পুনরায় পরিচয় করিয়ে দেন। যিনি আগে দুবার নির্বাচনে হেরেছিলেন। কিন্তু, অজিত পওয়ারের এনসিপির প্রার্থী দত্তমামা ভরনে তাঁর বিরুদ্ধে ১৯ হাজার ৭৫ ভোটে জিতেছেন। এই ফল ইঙ্গিত করে যে এনসিপি ভোটাররা ৮৪ বছর বয়সী শরদ পাওয়ারের চেয়ে দলের ভবিষ্যতের জন্য অজিত পাওয়ারের সঙ্গে সারিবদ্ধ হতে পছন্দ করেছেন।
আরও পড়ুন: মহারাষ্ট্রে বিরাট জয় বিজেপির, কী বললেন মোদি
একইভাবে উদ্ধব ঠাকরে (Uddhav Thackeray) দল এবং প্রতীক হারানোর পরে জনগণকে মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের বিরুদ্ধে তাঁকে সমর্থন করতে বলেছিলেন। তিনিও হতাশ হয়েছিলেন। একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বাধীন শিবসেনা ৭৯টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল এবং ৫৭টি আসনে জয় পায়। যখন ঠাকরের নেতৃত্বাধীন শিবসেনা ৯৮টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে মাত্র ২০টিতে জয় পায়।
তবে রাজনৈতিক মহল মনে করছে, রাজনীতিতে বহু উত্থান-পতন দেখেছেন শরদ পওয়ার। তিনি ঘুরে দাঁড়িয়েছেন। এরপর শরদ ও উদ্ধব ভবিষ্যতে কী পদক্ষেপ করেন সেদিকেই নজর সবার।
দেখুন অন্য খবর: