নয়াদিল্লি: প্রথম দুই দফায় ভোটদানের হার প্রকাশে দেরি নিয়ে অভিযোগ জানানোয় কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গেকেই (Mallikarjun Kharge) দুষল জাতীয় নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। কংগ্রেস সভাপতি ওই দেরির ব্যাখ্যা জানতে চেয়ে কমিশনকে চিঠি দেন। তাতে নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়। কমিশন তাদের এক্স হ্যান্ডেলে খাড়্গেকে জবাব দিয়েছে। বরং বলা ভালো, কমিশন তাঁকে সতর্ক করে দিয়েছে। কমিশনের বক্তব্য, কংগ্রেস সভাপতির অভিযোগ অবাঞ্ছিত। সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন সম্পর্কে ভোটারদের মধ্যে সংশয় সৃষ্টি করার জন্যই খাড়্গে ওইসব কথা চিঠিতে লিখেছেন। কমিশনের মতে, কংগ্রেস সভাপতির অভিযোগ এবং বক্তব্য ভোটারদের মনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। জাতীয় নির্বাচন কমিশনের দাবি, খাড়্গের বক্তব্য নির্বাচন প্রক্রিয়ার উপর আগ্রাসনের শামিল।
১৯ এপ্রিল দেশে প্রথম দফার ভোটের ১১দিন পর নির্বাচন কমিশন ভোটদানের হার সামনে আনে। দ্বিতীয় দফার ভোটেরও চারদিন পর ভোটদানের হার প্রকাশ্যে এনেছিল তারা। ওই চূড়ান্ত হিসেবে দেখা যায়, প্রাথমিকভাবে ভোটদানের যে হার জানা গিয়েছিল, তার থেকে প্রায় ছয় শতাংশ ভোট বেড়ে গিয়েছে। তা নিয়েই বিরোধীরা প্রশ্ন তোলেন। তৃণমূল নেত্রী এবং বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) নির্বাচনী সভায় কমিশনের ভূমিকা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন। তাঁর স্পষ্ট অভিযোগ, কারচুপি করে ভোটদানের হার বাড়ানো হয়েছে। মমতা ইভিএম নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। সব বিরোধী দলই তা নিয়ে মুখ খোলে।
আরও পড়ুন: একনায়কত্বে’র হাত থেকে রক্ষা করতে ভোট দেওয়ার আর্জি কেজরিওয়ালের
শুক্রবার ইন্ডিয়া মঞ্চের বিভিন্ন শরিকদলের নেতারা ভোটের হার নিয়ে নির্বাচন কমিশনের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেই বৈঠকের কিছুক্ষণ আগেই কংগ্রেস সভাপতির চিঠির জবাব দেয় কমিশন এক্স হ্যান্ডেলে। তারা খাড়্গেকে বলেছে, দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য করে নির্বাচন প্রক্রিয়ার বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে আপনি ধারাবাহিকভাবে প্রশ্ন তুলে চলেছেন। এটা আপনার কাছ থেকে কাম্য নয়।
অন্য খবর দেখুন