ওয়েব ডেস্ক : পাঁচ দিনের টেস্ট ম্যাচ (Test Match) যদি শেষ হয়ে যায় দু’দিনে, তাহলে তা ক্রিকেটের জন্য একেবারেই ভালো বিজ্ঞাপন নয়। কারণ, যে সমর্থকরা টাকা খরচ করে পাঁচ দিনের ম্যাচ দেখতে আসেন তারা হতাশ হন। অন্যদিকে দ্রুত টেস্ট ম্যাচ শেষ হয়ে গেলে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ে ক্রিকেট বোর্ড ও আয়োজোকরা।
এই সব বলার কারণ হচ্ছে, চলতি অ্যাশেজ সিরিজে (Ashes Series) এমন দুটি ম্যাচ হয়েছে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই শেষ হয়েছে। এই সিরিজের প্রথম ম্যাচ শেষ হয়েছিল দু’দিনের মধ্যে। চতুর্থ টেস্ট তথা মেলবোর্নে (MCG) বক্সিং ডে টেস্ট দু’দিনের কম সময়েই শেষ হয়ে গিয়েছে। প্রথম দিয়েই এমসিজি-তে ভিড় জমিয়েছিলেন প্রায় ৯৫ হাজার দর্শক। কিন্তু কেউই ভালো টেস্ট ম্যাচটি উপভোগ করতে পারলেন না। কারণ প্রথম দিনেই পড়ে গিয়েছিল ২০টি উইকেট, আর দ্বিতীয় দিনে পড়ে আরও ১৬টি। আর এতো কম সময়ে টেস্ট ম্যাচ শেষ হওয়ার একাধিক প্রশ্নচিহ্ন রেখে গিয়েছে।
আরও খবর : ২০২৬-এর কোন মাসে কী সিরিজ? দেখে নিন টিম ইন্ডিয়ার পূর্ণাঙ্গ সূচি
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাহী টড গ্রিনবার্গ (Todd Greenberg) এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, “একজন সমর্থক হিসেবে ম্যাচ দেখাটা যতই মনোমুগ্ধকর, রোমাঞ্চকর ও উপভোগ্য হোক না কেন, আমরা চাই টেস্ট ক্রিকেট আরও দীর্ঘস্থায়ী হোক। খুব সহজ কথায় বললে, ছোট টেস্ট ম্যাচ ব্যবসার পক্ষে ভালো নয়। এর চেয়ে স্পষ্টভাবে বলা সম্ভব নয়। তাই ব্যাট ও বলের মধ্যে একটু বিস্তৃত ভারসাম্য দেখতে চাই। আমার মনে হয়েছে, গতকাল পরিস্থিতি কিছুটা বলারদের পক্ষেই ছিল। এর জন্য ব্যাটসম্যানদেরও কিছুটা দায়িত্ব আছে। সবটাই পিচের দোষ নয়। তবে আমাদের সামনে কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে,”
গ্রিনবার্গ আরও বলেন, “গত রাতে ঠিকমতো ঘুমোতে পারিনি, এভাবেই বলি। টেস্ট ক্রিকেটের দিক থেকে দিনটা অসাধারণ ছিল। যাঁরা রেকর্ড সংখ্যায় মাঠে উপস্থিত ছিলেন, তাঁদের জন্য তা নিঃসন্দেহে একটি স্মরণীয় অভিজ্ঞতা। কিন্তু আমাদের চ্যালেঞ্জ হল, এই অভিজ্ঞতা যেন দিনের পর দিন ধরে বজায় রাখা যায়। সেটাই আমাদের সবার সামনে আসল চ্যালেঞ্জ।”
তিনি বলেন, “ঐতিহাসিকভাবে আমরা উইকেট প্রস্তুতির বিষয়ে ‘হাত গুটিয়ে রাখা’ নীতিই অনুসরণ করেছি এবং মাঠকর্মী, পরিবেশ ও স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্যগুলোকেই তাদের মতো করে প্রকাশ পেতে দিয়েছি। কিন্তু খেলাটির উপর, বিশেষ করে বাণিজ্যিক দিক থেকে, এর প্রভাব যখন চোখে পড়ে, তখন বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়া কঠিন হয়ে যায়। আমি বলছি না যে আমরা মাঠকর্মীদের কাছে গিয়ে নির্দেশ দেব। তবে গোটা মরসুম জুড়ে আমাদের প্রত্যাশা কী হওয়া উচিত, সে বিষয়ে সতর্ক নজর রাখা জরুরি।”
দেখুন অন্য খবর :







