কলকাতা: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) ফুরফুরা শরিফে যাওয়া নিয়ে শাসক দলের বিরুদ্ধে তোষণের রাজনীতির অভিযোগ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর কটাক্ষ, ভোটব্যাংক এককাট্টা করতেই প্রতি বিধানসভা নির্বাচনের আগে ফুরফুরা শরিফে যান মমতা। আর রাজত্বকালের পাঁচ আর মনে থাকে না ফুরফুরার কথা। ছাব্বিশের নির্বাচনের রণনীতি ঠিক করা নিয়ে এদিন সন্ধ্যেয় সুকান্ত মজুমদারের বাসভবনে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে যোগ দেওয়ার আগে মুখ্যমন্ত্রীকে এক হাত নেন শুভেন্দু।
সোমবার দমদম বিমানবন্দর থেকে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “প্রতিবার বিধানসভা নির্বাচনের আগে ভোটব্যাংক বাড়াতে ফুরফুরা শরিফে যান মুখ্যমন্ত্রী । ২০১৬ সালের নির্বাচনের আগেও গিয়েছিলেন । মাঝে পাঁচ বছর ফুরফুরা শরিফের কথা ভুলে গিয়েছিলেন । ওখানকার সংখ্যালঘু মানুষদের কথা ভুলে গিয়েছিলেন । এখন আবার ভোট আসছে, তাই ফুরফুরায় যেতে হবে ।”
আরও পড়ুন: সোমবার সকালে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে যাচ্ছেন অন্তর্বর্তী উপাচার্য ভাস্কর গুপ্ত
শাসক দলের বিরুদ্ধে তোষণের রাজনীতির অভিযোগ তুলে তিনি আরও বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের হিন্দু ভোটার, যাঁরা তৃণমূল কংগ্রেসকে ভোট দেন, আজ তাঁরা টিভির দিকে নজর রাখবেন । দেখবেন, আমি যে বলি তোষণের রাজনীতি, সেটা প্রমাণ হয়ে যাবে ।” তাঁর আরও অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী ফুরফুরা শরিফের মানুষদের সঙ্গে উন্নয়নের নামে প্রতারণা করেছেন। বিরোধী দলনেতার কথায়, “ফুরফুরা শরিফে গিয়ে দেখলেই বোঝা যাবে, সেখানে কতটা উন্নয়ন হয়েছে ! আদতে কিছুই হয়নি । মুসলিম সমাজও এখন তৃণমূল কংগ্রেসের উপর ক্ষুব্ধ । ২০২৬ সালের নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস হিন্দু ভোট পাবে না । সেই ভোট ইতিমধ্যেই সরে গিয়েছে । তাই মুখ্যমন্ত্রী দিশেহারা হয়ে পড়েছেন এবং ভোটব্যাংক ধরে রাখতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন ।”
উল্লেখ্য, সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফুরফুরার পীরজাদাদের সঙ্গে একান্ত বৈঠক করবেন। পাশাপাশি, সরকারি উদ্যোগে আয়োজিত ইফতার পার্টিতেও অংশ নেবেন তিনি । দল সূত্রে খবর, এই সফরে ফুরফুরা শরিফের উন্নয়ন ও সরকারি তহবিলের যথাযথ ব্যবহার নিয়ে আলোচনা করতে পারেন মমতা ।
দেখুন আরও খবর: