ওয়েবডেস্ক- হুমায়ুন কবীর বেলডাঙায় ৬ ডিসেম্বর ‘বাবরি মসজিদ’ শিলান্যাস করার কথা ঘোষণা করেন। যা ঘিরে তীব্র রাজনৈতিক বিতর্ক শুরু হয়। এর পরেই শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে তার উপর কড়া অ্যাকশন নেয় তৃণমূল।
ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীরকে (Bharatpur MLA Humayun Kabir) সাসপেন্ডের আবহে আজ মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বহরমপুরে (Baharampur) সভা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) । আর এই সভা থেকেই নাম না করে হুয়ায়ুনকে তীব্র বাণে বিঁধলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। নাম না করে মমতার তোপ, একটা ধান পচে গেলে সরিয়ে দিতে হয়। না হলে বাকি গুলো পচে যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বহরমপুরের সভার আগেই কয়েক ঘণ্টা আগে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে হুমায়ুন কবীরকে সাসপেন্ড করা হয়। এর পরেই নাম না করেই তীব্র নিশানা তৃণমূল সুপ্রিমোর।
মমতার কথায়, “আপনারা জানেন, সিরাজউদ্দৌলা মীরজাফরের মাথায় মুকুট পরিয়ে দিয়ে বলেছিলেন, তুমি ভেঙো না, স্বাধীনতাকে চলে যেতে দিও না। সম্মান রক্ষা করো। আমি আমার মুকুট তোমার হাতে তুলে দিচ্ছি। আমাদের স্বাধীনতাকে রক্ষা কর। সেদিন সিরাজউদ্দৌলা এত বড় সম্মান দেওয়ার পরেও, মীরজাফর সেটা করতে দেননি। কিন্তু, সিরাজউদ্দৌলার নাম আজও ঘরে ঘরে পূজিত হয়। কারণ তিনি চেয়েছিলেন দেশ টা ভালো থাকুন’।
সবাইকে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, উসকানিতে পা দেবেন না। মুর্শিদাবাদের মানুষের কাছে হিংসার কোনও স্থান নেই, এই জেলার মানুষ পছন্দ করে না। তিনি বলেন, মাঝে ধুলিয়ানে একটা ঘটনা ঘটেছিল। সেই সময় আমি নিজে এসেছিলাম। জঙ্গিপুর একটা ঘটনা ঘটতে যাচ্ছিল। কিন্তু আমি সংখ্যালঘু ভাইদের ফোন করেছিলাম। সংখ্যালঘুদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা হচ্ছে।
এদিনের সভায় শুরু থেকে শেষ পর্যন্তই ছিল সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বার্তা। বহরমপুরের মাটি থেকে তাঁর তীব্র হুঙ্কার, কোনও ধর্মস্থানে হাত দিতে দেব না। যতদিন বাঁচব ততদিন ধর্মের পরম্পরা মানব।
আরও পড়ুন- কবে চালু হচ্ছে সাগরদিঘির ৬৬০ মেগাওয়াট সুপার ইউনিট! জানিয়ে দিলেন মমতা
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমরা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা করতে চাই। এটা আমাদের সংবিধান শিখিয়েছে।’ এদিন হুমায়ুনের নাম না করে তিনি বলেন, সব ধর্মেই কিছু গদ্দার, কুলাঙ্গার থাকে। যারা বিজেপির টাকা খেয়ে এই ধরনের মিথ্যা গুজব রটিয়ে থাকে। এদিন তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, এখন এআই বেরিয়েছে। সেই সুযোগের অপব্যবহার করে এই ধরনের ভুয়ো প্রচার চালানো হচ্ছে। এআই দিয়ে আমার মুখে বাজে কথা বসাচ্ছে।
ওয়াকফ প্রসঙ্গেও সংখ্যালঘু ভাই -বোনের উদ্দেশে বলেন, বেশ কয়েকটা দিন ধরে গুজব ছড়ানো হচ্ছে রাজ্য সরকার কালেক্টরে খতিয়ান নম্বর ১-এ ধর্মীয় স্থানগুলি- মসজিদ, কবরস্থানগুলি নথিভুক্ত করছে। এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা খবর। ৮২ হাজার ওয়াকফ সম্পত্তি কেন্দ্রীয় পোর্টালে ছিল। তৃণমূল সরকার আসার আগেই ছিল।
এদিন বহরমপুর থেকে বিজেপিকে শূন্য করার ডাক দেন তিনি।







